ক্রীড়া প্রতিবেদক : প্রথম বাংলাদেশি খেলোয়াড় হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি সাহায্য সংস্থা ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের (ইউএসএইড) শুভেচ্ছাদূত হয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে ইউএসএইডের সঙ্গে ১ বছরের চুক্তিতে সই করেন এই অলরাউন্ডার। সংস্থাটির পক্ষে চুক্তি সই করেন বাংলাদেশের মিশন প্রধান ইয়ানিনা জারুজেলস্কি। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে মাহমুদউল্লাহ তার বক্তব্যে বলেন, তরুণ প্রজন্মই ভবিষ্যত বাংলাদেশের রূপকার। ইউএসএইডের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে দেশের সব তরুণকে এ বার্তাই দিতে চাই- সমাজের সব অসঙ্গতি দূর করতে তাদের ভূমিকা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ, নারীর নিরাপত্তা ও ক্ষমতায়নে সবার সহযোগিতা দরকার। আমি একজন বাবা, স্বামী কিংবা সন্তান হিসেবে এটাই বিশ্বাস করি, নারী-পুরুষের সমান অংশগ্রহণে দেশ এগিয়ে যাবে। এই চুক্তির আওতায় সামাজিক উন্নয়নে সংস্থাটির বিভিন্ন কর্মসূচীর প্রচারণা কাজে অংশ নেবেন খুলনা টাইটানসের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। সবার জন্য টেকসই শিক্ষা, সুস্বাস্থ্য ও পুষ্টি নিশ্চিত করতে জনসচেতনতা বাড়াতে ভূমিকা রাখবেন তিনি। একই সমাজের সার্বিক কর্মকাণ্ডে নারীদের সমান অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার পাশাপাশি, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে কাজ করবেন বিশ্বকাপে বাংলাদেশের একমাত্র সেঞ্চুরিয়ান। ইউএসএইডের মিশন প্রধান ইয়ানিনা জারুজেলস্কি বলেছেন, স্বাধীনতার পর থেকেই বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছে ইউএসএইড। মাহমুদউল্লাহর মতো চ্যাম্পিয়ন ক্রিকেটার দেশ ও দেশের বাইরে নিশ্চয়ই সবার জন্য বড় অনুপ্রেরণা। শুভেচ্ছাদূত হিসেবে তিনি নিশ্চয়ই আমাদের কর্মকাণ্ডকে আরও গতিশীল করবেন।