আন্তর্জাতিক ডেস্ক: থাইল্যান্ডের ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রার সব পাসপোর্ট বাতিল করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তাঁর দুটি ব্যক্তিগত ও দুটি কূটনীতিক পাসপোর্ট রয়েছে। মঙ্গলবার দেশটির সরকারি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এ খবর দিয়েছে এএফপি।
দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডন প্রমোদউইনি ব্যাংককে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখন থেকে ইংলাকের সব পাসপোর্ট বাতিল বলে গণ্য হবে। তিনি কোথায় আমরা জানি না। শুধু আমাদের কাছে এটুকু খবর আছে যে, তিনি যুক্তরাজ্যে আছেন। তবে কোন শহরে তা জানি না।’
থাইল্যান্ডের ডেপুটি পুলিশপ্রধান শ্রিভারা রানসিব্রাহমনকুল বলেন, ‘ইংলাককে দেশে ফেরত আনার স্বার্থে তিনি কোথায় অবস্থান করছেন, তা জানতে কাজ করছে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু কোনো দেশই এ বিষয়ে জবাব দেয়নি।’
খবরে জানানো হয়, ইংলাকের বিরুদ্ধে দুই মাস আগে চালের নীতিতে ঘুষ বন্ধে ব্যর্থতার অভিযোগে করা মামলার রায় ঘোষণার তারিখ ছিল। কিন্তু তিনি এর আগেই দেশ ছাড়েন।
চালে ভর্তুকির কর্মসূচিটি ছিল ইংলাক প্রশাসনের প্রধান একটি নীতি। ওই কর্মসূচিতে কৃষকদের কাছ থেকে বাজারমূল্যের চেয়ে ৫০ শতাংশ বেশি মূল্যে ধান কেনা হয়। এই কর্মসূচিটি কৃষকদের কাছে জনপ্রিয় ছিল। কর্মসূচির কারণে দেশটিতে চালের বিশাল মজুত সৃষ্টি হয় এবং লোকসান হয় ৮০০ কোটি ডলার। ভর্তুকি কর্মসূচিতে দুর্নীতি বন্ধে ব্যর্থতার দায়ে গত মাসে ইংলাককে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয় দেশটির একটি আদালত।
২০১৪ সালের ২২ মে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করার মাত্র ক’দিন আগে আদালতের এক বিতর্কিত আদেশে ক্ষমতাচ্যুত হন থাইল্যান্ডের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা। ২০১১ সালে তিনি দেশটির প্রধানমন্ত্রী হন।
এরই মধ্যে থাইল্যান্ডের সামরিক জান্তা সরকার জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছে। ২০১৮ সালের নভেম্বরে এ নির্বাচন হবে বলে জানিয়েছেন জান্তা নেতা ও প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান-ওচা। এর আগেও দুবার নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছিলেন তিনি। কিন্তু প্রতিবারই তা পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে নিরাপত্তা ও সংবিধান সংশোধনের অজুহাতে।