নিজস্ব প্রতিবেদক: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের স্থানে মঞ্চ পুনর্র্নিমাণ করে সেখানে তার ভাস্কর্য নির্মাণ এবং দিনটিকে ঐতিহাসিক দিবস হিসেবে কেন ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে রুল জারির পর এ বিষয়ে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে তা আগামী ১২ ডিসেম্বর প্রতিবেদন আকারে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে। মন্ত্রী পরিষদ সচিব ও অর্থ সচিবকে এই নির্দেশ পালন করতে বলা হয়েছে।
সোমবার সকালে (২০ নভেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জনস্বার্থে এ রিট আবেদনটি দায়ের করেন আইনজীবী ড. বশির আহমেদ। রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি মোহাম্মাদ উল্লাহের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এই আদেশ দেন। রিটে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় সচিবসহ সংশ্লিষ্টদেরকে বিবাদী করা হয়েছে।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ড. বশির আহমেদ। তিনি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ও আওয়ামীপন্থী আইনজীবী। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন তাপস কুমার বিশ্বাস।
পরে বশির আহমেদ বলেন, ‘আজ (সোমবার) আদালত আমাদের রিট আবেদন নিয়ে শুনানি করে রুল জারি করেছেন। আদালত তার আদেশে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের স্থানে মঞ্চ পুনর্র্নিমাণ করে সেই মঞ্চের ওপর বঙ্গবন্ধুর আঙুল তোলা অবস্থায় ভাষণরত ভাস্কর্য নির্মাণ করতে বলা হয়েছে। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধাদের অস্ত্র জমা দেওয়া এবং এখান থেকে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জ্ঞাপনের বিষয়টি মুর্যালে তুলে ধরতে বলা হয়েছে। এছাড়াও ওই দিনটিকে কেন ঐতিহাসিক দিবস ঘোষণা করা হবে না রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।’