নিজস্ব প্রতিবেদক: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ওবায়দুল কাদের বলেছেন,দেশে যত দুর্নীতি হয়েছে তার অর্ধেকই করেছেন রাজনৈতিক ব্যক্তিরা। তাহলে বলবো আপনারা দুর্নীতি বন্ধ করে দেন। রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৫৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে “গণতন্ত্র ও উন্নয়নে তারেক রহমান” শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে জিয়া পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটি।
ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্য করে আব্বাস বলেন, আমাদের সিটি কর্পোরেশনের টেক্স বৃদ্ধি করেছেন, বিদ্যুতের দামসহ সব কিছু বৃদ্ধি করেছেন। মামুলি করতে কত বেশি বাড়িয়েছেন? উনি সত্য কথা বলেছেন- রাজনীতিবিদরা দুর্নীতি করে। তবে করে,তা আওয়ামী লীগের লোকেরা। বিএনপির কেউ দুর্নীতি করে না। আর যদি পান তথ্য প্রমাণসহ দেখাবেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, আওয়ামী লীগ নেতারা মুক্তিযুদ্ধ করেনি। আওয়ামী লীগের নেতারা যারা এখন মুক্তিযুদ্ধা পরিচয় দেন- তারা হচ্ছে থিয়েটার ট্রেনিংপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা। আওয়ামী লীগের এক নেতার মন্তব্যর ইস্যুতে এমন কথা বলেন আব্বাস।
মির্জা আব্বাস বলেন,ইতিহাস মুছে দেয়া যায় না। আসলে ইতিহাস মুছে দিতে চেষ্টাও করা উচিৎ নয়। পাঠ্যপুস্তক থেকে জিয়াউর রহমমানের নাম মুছতে পেরেছেন। আওয়ামী লীগের কাউকেই জিয়াউর রহমানকে চেনা উচিৎ নয়। চিনলে অনেক কিছুই মেনে নিতে হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই নেতা বলেন, আমাদের দেশে এত ভালো ভালো রাজনৈতিক দল আছে, তার মধ্যে একটা মিথ্যাবাদী দলও থাকা উচিৎ। উনি যদি গালি দিয়েও বলতেন তাও হতো। কিন্তু চিনি না বলাটা অন্যকিছু বহন করে।
আব্বাস বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় আওয়ামী লীগের অনেকেই চট করে কলকাতা থিয়েটার রোডে পালিয়ে গেছে। আরো পালিয়েছেন অন্য যায়গায়। যখন জিয়াউর রহমান সাহেব স্বাধীনতা ঘোষণা দিলেন তখন যুদ্ধের জন্য আমাদের অনেকেই প্রস্তুতি নিলেন। আমাদের বিএনপিতে যত মুক্তিযোদ্ধা আছে আওয়ামী লীগে তত মুক্তিযোদ্ধা নেই। আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধারা থিয়েটার প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।
সরকার তারেক রহমানকে ভয় পেয়ে যা করেছেন তা ঠিক নয়। তারেক রহমানকে সরকার ভয় পান বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তারেক রহমানের বিরুদ্ধে অপপ্রচার না চালিয়ে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করার জন্য আওয়ামী লীগকে অনুরোধ করেন আব্বাস।
তিনি বলেন, দেশের জনগণের জন্যই তারেক রহমান দেশে ফিরবেন। আর জনগণ ও নিজেদের প্রয়োজনে তারেককে দেশে আনবেন।
তিনি আরো বলেন, বিএনপির জনসমাগম দেখে আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন বিএনপি নির্বাচনে আসবেন লাইসেন্স বাঁচাতে। কিন্তু আওয়ামী লীগকে আমাদের নেত্রীর কথা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। আসেন পাশাপাশি সমাবেশের ডাক দেন- দেখেন কোথায় লোক বেশি আসে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা প্রফেসর ডা. আব্দুল কুদ্দুস, জিয়া পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম সলিমুল্লাহ খান, বিএনপির শিক্ষাবিষয়ক সম্পাদক প্রফেসর ওবায়দুল ইসলাম, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা প্রমুখ।