আজকের প্রভাত প্রতিবেদক : ৩০ জুন সোমবার এইচএসসি/আলীম/ভোকেশনাল পরীক্ষা উপলক্ষ্যে মতিঝিল ট্রাফিক বিভাগ কর্তৃক যান ও জনজট নিরসনের লক্ষ্যে পূর্ব থেকেই ত্রিস্তর বিশিষ্ট (ভেন্যু কেন্দ্রিক, রুট কেন্দ্রিক ও দ্রুত সাড়া প্রদানকারী দল) পরিকল্পনা ঢেলে সাজানো হয়েছিল। ব্রিফিংসহ প্রতিটি পরীক্ষা কেন্দ্রে সংশ্লিষ্ট ট্রাফিক ইন্সপেক্টর, সহকারী পুলিশ কমিশনার(ট্রাফিক) সহ মোহাম্মদ মইনুল হাসান (অতিরিক্ত ডিআিইজি), উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক মতিঝিল) নিজে গতকাল ২৯ জুন রবিবার ঘুরে ঘুরে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন। মতিঝিল ট্রাফিক বিভাগের ০৬ টি কেন্দ্রে (আবুজর গিফারী কলেজ, মালিবাগ, খিলগাঁও মডেল কলেজ, খিলগাঁও, রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স স্কুল এ্যান্ড কলেজ, পোস্ট অফিস হাই স্কুল, মতিঝিল,কদমতলা পূর্ব বাসাবো স্কুল এন্ড কলেজ, বাসাবো, সবুজবাগ সরকারী কলেজ, সবুজবাগ, ঢাকা) ঢাকা শহরের সর্বমোট ৪৬ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৯,৯৪৮ জন (বাংলা ও ইংরেজী ভার্সনসহ) পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছেন। অত্র বিভাগের সড়কে বিদ্যমান বাস্তবতা উল্লেখ করে পরীক্ষার্থীদের ও অভিভাবক বৃন্দের যথাসময়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছানোর লক্ষ্যে করণীয় সম্পর্কে গত ২৮ জুন ট্রাফিক মতিঝিল বিভাগের ফেইজবুক পেইজে একটি পোস্টও দেয়া হয়েছিল যা ব্যাপক সাড়া পেয়েছে। এমনকি সেই পোস্টটি মতিঝিল ট্রাফিক বিভাগের ০৬ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার মহোদয়গণকে ব্যক্তিগতভাবে ফরোয়ার্ড করা হয়েছিল যাতে তারা নিজস্ব/গার্ডিয়ান গ্রুপে প্রচারের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট সকলে প্রয়োজনীয় ট্রাফিক গাইড লাইন পেতে পারে। ৩০ জুন সকাল থেকেই মতিঝিল ট্রাফিক বিভাগের সদস্যবৃন্দ পরীক্ষার্থীদের স্ব স্ব কেন্দ্রে পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব নিয়ে অর্পিত দায়িত্ব পালন করেন। মুষলধারে বৃষ্টির মধ্যে ও মতিঝিল ট্রাফিক বিভাগের সদস্যবৃন্দ এতটুকু পিছপা হননি। রেইন কোট-গামবুট পরিধান করে, ছাতা মাথায় ট্রাফিক সদস্যগণ পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে যথাসময়ে পৌঁছানোর লক্ষ্যে সাধ্যমত সবটুকু উজাড় করে দেন। Quick Response Team (QRT) এর কার্যক্রম ছিল চোখে পড়ার মত। পথিমধ্যে অনেক পরীক্ষার্থীই যখন বৃষ্টিতে ভিজছিল তখন উপায়ন্তর না পেয়ে অভিভাবকগণ উদ্বেগ- উৎকন্ঠায় ভুগছিলেন। তৎক্ষনাৎ সাহায্যের হাত প্রসারিত করে মতিঝিল ট্রাফিক পুলিশ। তারা Quick Response Team (QRT) এর মাধ্যমে অতিদ্রুত স্ব স্ব কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীদের পৌঁছে দেন। এ সময় পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকবৃন্দ খুবই উচ্ছ্বসিত হন ও বাংলাদেশ পুলিশের ভূয়সী প্রশংসা করেন। শুধু কি তাই, বৃষ্টিতে ভিজে পরীক্ষার্থীদের বাসের জন্য অপেক্ষমান দৃশ্য চোখে পড়লে মতিঝিল ট্রাফিক বিভাগের অন্তর্গত ট্রাফিক সদস্যগণ ছাতা এগিয়ে বৃষ্টি হাত থেকে রক্ষা পূর্বক পরীক্ষার্থীকে বাসে উঠিয়ে দেওয়ার ও সুব্যবস্থা করেন।প্রবল বর্ষনের আগে ও পরে কেউ যাতে যত্রতত্র রাস্তায় ব্যক্তিগত গাড়ী পার্কিং করে অনাকাঙ্খিত যানজট তৈরী করতে না পারে সেজন্য পরীক্ষা কেন্দ্রের সম্মূক্ষে ও বিভিন্ন স্থানে হেলার দিয়ে সচেতনতামূলক মাইকিং করা হয়। পরীক্ষার্থীদের সাথে অভিভাবক যারা এসেছেন তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে কেন্দ্র এলাকা/রাস্তা ত্যাগ করে সুশৃঙ্খলভাবে অন্য পরীক্ষার্থীদের প্রবেশের সুযোগ করে দেন সেজন্য ও মাইকিং কার্যক্রম অব্যাহত থাকে। পরীক্ষার্থীদের ভুল করে অন্য কেন্দ্রে চলে আসা, সময় মতো পরীক্ষা কেন্দ্রে পৌঁছাতে না পারা কিংবা কেন্দ্রে যেতে যে কোন অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে Quick Response Team ত্বরিত গতিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। উপস্থিত জনতা, সংশ্লিষ্ট পরীক্ষার্থীর অভিভাবকগণ, পথচারী, সচেতন মহল সবাই এ কার্যক্রমের ভূয়সী প্রশংসা করেন। চলমান পাবলিক পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত পরীক্ষার্থীদের নির্বিঘ্নে কেন্দ্রে পৌঁছানোর লক্ষ্যে মতিঝিল ট্রাফিক বিভাগের এহেন বহুমুখী কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।”ট্রাফিক মতিঝিল বিভাগ সকল শ্রেণী পেশার কম্যুটারসগণকে ট্রাফিক শৃংখলা ও আইন মান্যতার সংস্কৃতি লালন ও পালন করার অনুরোধ জানাচ্ছে।ট্রাফিক মতিঝিল বিভাগ সম্মানিত নগরবাসীকে স্বস্তি প্রদানে বদ্ধ পরিকর।