Saturday , 10 June 2023
আপডেট
Home » গরম খবর » পেটে গজ রেখে অপারেশন করা সেই ভুয়া ডাক্তারের বিরুদ্ধে পরোয়ানা
পেটে গজ রেখে অপারেশন করা সেই ভুয়া ডাক্তারের বিরুদ্ধে পরোয়ানা

পেটে গজ রেখে অপারেশন করা সেই ভুয়া ডাক্তারের বিরুদ্ধে পরোয়ানা

নিজস্ব প্রতিবেদক: সন্তান প্রসবের সময় রোগীর পেটে গজ রেখেই অপারেশন শেষ করায় কথিত চিকিৎসক রাজন দাসের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে তাকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রাজনের চিকিৎসা সনদ ভুয়া প্রমাণিত হওয়ায় সোমবার (৬ নভেম্বর) বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ পরোয়ানা জারি করেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শশাঙ্ক শেখর সরকার।
এর আগে ২৩ জুলাই পটুয়াখালীর সিভিল সার্জন ও বরিশাল মেডিক্যালের গাইনি বিভাগের প্রধানসহ তিন জনকে তলব করেন হাইকোর্ট। এছাড়া পটুয়াখালীর বাউফলের নিরাময় ক্লিনিকের মালিককে হাজির হতে বলা হয়।
২২ জুলাই একটি জাতীয় দৈনিকে ‘সাড়ে তিন মাস পর পেট থেকে বের হল গজ!’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. শহিদ উল্লা আদালতের নজরে আনার পর রুলসহ হাইকোর্ট আদেশ দেন।
ওই পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘অস্ত্রোপচারের সাড়ে তিন মাস পর বরিশালে মাকসুদা বেগম (২৫) নামের এক নারীর পেট থেকে গজ বের করা হয়েছে। মুমূর্ষু অবস্থায় ওই নারীকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে। চিকিৎসকেরা বলেন, দীর্ঘদিন পেটের ভেতর গজ থাকায় খাদ্যনালীতে অনেকগুলো ছিদ্র হয়ে গেছে। মাকসুদা বেগমের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় রাতে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। মাকসুদা পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার বিলবিলাস গ্রামের মো. রাসেল সরদারের স্ত্রী। গত মার্চে অস্ত্রোপচার করে মাকসুদা একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। তখন তার পেটে গজ রেখে সেলাই করে দেন চিকিৎসক।’
মাকসুদার মা রোকেয়া বেগম বলেন, ‘গত মার্চে সন্তান প্রসবের জন্য মাকসুদাকে বাউফলের নিরাময় ক্লিনিকে নেওয়া হয়। অস্ত্রোপচার করে মাকসুদার একটি মেয়ে হয়। কয়েক দিন ক্লিনিকে থাকার পর তারা বাড়ি ফেরেন। এক মাস পর মাকসুদা পেটে তীব্র ব্যথা অনুভব করায় আবারও ওই ক্লিনিকে যান। চিকিৎসকেরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ওষুধ দিয়ে ব্যথা কমানোর চেষ্টা করেন। দুই মাস পর খিঁচুনি দিয়ে জ্বর ওঠে। তখন খাওয়া-দাওয়াও বন্ধ হয়ে যায়। গত জুনে বরিশাল মেডিক্যালের বহির্বিভাগে দেখানো হয়। তখন আলট্রা-সনোগ্রাফিতেও কিছু ধরা পড়েনি। এরপর পটুয়াখালীতে এক চিকিৎসককে দেখানোর পর তিনি বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানোর পরামর্শ দেন। ১২ জুলাই হাসপাতালে মাকসুদার অস্ত্রোপচার হয়। তখন তার পেটের ভেতর থেকে গজ বের করা হয়।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*