নিজস্ব প্রতিবেদক: থার্টি ফার্স্ট নাইটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও গুলশান এলাকায় কিছু মানুষ খামোখাই হইচই করে। তাদের প্রতিরোধ করতেই বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকালে রাজধানীর পুলিশ কনভেনশন হলে ‘ঢাকা মেট্রোপলিটন শুটিং ক্লাব’ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা গত ২৫ ডিসেম্বর খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বড়দিন অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপন করেছি। এসময় বাংলাদেশের কোনও জায়গায় কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। থার্টি ফার্স্ট নাইটেও আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী যথেষ্ট প্রস্তুত রয়েছে, যাতে কোনও ধরনের অরাজক পরিস্থিতি ও নাশকতা না হয়।’
আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘থার্টি ফার্স্ট নাইটে নাশকতা এড়ানোর জন্যই আমরা কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছি। এরমধ্যে রয়েছে- সূর্যাস্তের পরে বাইরে কোনও অনুষ্ঠান করতে পারবে না। যারা করবে তারা ঘরে করবে।’
থার্টি ফার্স্ট নাইটে গুলশান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কিছু মানুষ খামোখাই হইচই করে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘যাতে বাইরে কোনও জায়গায় কেউ একত্র না হতে পারে এবং গুলশান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় রাতে যাতে কেউ খামোখাই হইচই না করে, সে বিষয়েও আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। যাতে কোনও অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়, সেজন্য আমরা বিধিনিষেধ আরোপ করেছি।’
প্রায় একদশক ধরে থার্টি ফার্স্ট নাইটের অনুষ্ঠান উন্মুক্ত স্থানে করতে দেওয়া হচ্ছে না। এ রকম আর কত বছর চলবে, জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা মানুষের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করি। দেশের নাগরিকদের জানমালের কথা চিন্তা করি। সেজন্যই আমরা এসব বিধিনিষেধ আরোপ করি।’
থার্টি ফার্স্ট নাইটে মাদক প্রতিরোধেও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘থার্টি ফার্স্ট নাইটে রাতের বেলা কোনও বার খোলা থাকবে না। আর অবৈধভাবে যদি কেউ মাদক বহন করে, তাদের বিরুদ্ধে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে।’
সাম্প্রতিক সময়ে রাজধানী থেকে কয়েক তরুণের নিখোঁজের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘অনেকেই ইচ্ছাকৃতভাবে নিখোঁজ হয়।কেউ গাঢাকা দেয়। অনেকেই ফেরত আসছে। এগুলো নিখোঁজ নয়। আপনারা (সাংবাদিকরা) যা আশঙ্কা করছেন, তা নয়।’
এসময় পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) একেএম শহীদুল হক, অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক ও পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) প্রধান ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী, অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (প্রশাসন) মোখলেছুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ‘ঢাকা মেট্রোপলিটন শুটিং ক্লাব’ –এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আইজিপি একেএম শহীদুল হক। তিনি বলেন, ‘শুটিংয়ে বাংলাদেশের অর্জন রয়েছে। তবে এই খেলাটি খুব কস্টলি। এই খেলার সরঞ্জামের অনেক দাম। একটা শুটিং রেঞ্জের প্রয়োজন। একটি রেঞ্জ করার জন্য উদ্যোগ নিতে হবে। পুলিশের কোনও নিজস্ব শুটিং রেঞ্জ নেই। ভালো করে পদক্ষেপ নিলে আমাদের এখান থেকে ভালো শুটার পাবো।’
অলিম্পিক বাংলাদেশের মহাসচিব শাহেদ রেজা বলেন, ‘একটি অলিম্পিক ভিলেজ করার জন্য আমরা প্রধানমন্ত্রীর অনুমতি পেয়েছি। এতে ২৫০/৩০০ একর জায়গার প্রয়োজন রয়েছে। আমরা জায়গা খুঁজছি, যেখানে সব ধরনের ইভেন্ট আয়োজন করা যায়।’
ঢাকা মেট্রোপলিটন শুটিং ক্লাবকে সব ধরনের সহযোগিতা করার আশ্বাস প্রদান করেন তিনি । ক্লাবটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশ আর্মস পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) প্রধান মো. সিদ্দিকুর রহমান।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল