নিজস্ব সংবাদদাতা: রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও টেকসই প্রত্যাবর্তনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আরও জোরালো ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে মিয়ানমারকেই এগিয়ে আসতে হবে। বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) ঢাকায় সফররত ফ্রান্সের পার্লামেন্ট সদস্য বুয়ন তানের নেতৃত্বে দেশটির সংসদীয় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে স্পিকার একথা বলেন। সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
স্পিকার বলেন, ‘রোহিঙ্গা সংকটের সময়ে সীমান্ত খুলে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবতার নব দুয়ার উন্মোচন করেছেন। স্থাপন করেছেন মানবতার অনন্য দৃষ্টান্ত।’ জাতিসংঘে সাধারণ পরিষদে রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া পাঁচ দফা প্রস্তাবের ভিত্তিতেই এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান সম্ভব বলে তিনি উল্লেখ করেন। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় শুরু থেকেই বাংলাদেশের ভূমিকায় সন্তোষ প্রকাশ করে আসছে বলে স্পিকার উল্লেখ করেন।
শিরীন শারমিন বলেন, ‘অর্থনৈতিক উন্নয়নের সব সূচকে বাংলাদেশ এখন শক্ত ভিতের ওপর অবস্থান করছে। দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশ ধারাবাহিকভাবে অর্জিত হচ্ছে। বৈদেশিক রিজার্ভ ১৬০০ কোটি ডলার ছাড়িয়েছে। রফতানি আয় বৃদ্ধি পেয়েছে ১১ শতাংশ এবং প্রবাসী আয় বেড়েছে ১২ শতাংশ।’
তিনি বলেন, ‘জনবান্ধব কর্মসূচি গ্রহণের ফলে দারিদ্রের হার ৪০ শতাংশ থেকে ২৩ শতাংশে নেমে এসেছে। নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত হয়েছে, হ্রাস পেয়েছে মাতৃমৃত্যু ও শিশু মৃত্যুর হার। মাথাপিছু আয় দাঁড়িয়েছে ১৬১০ মার্কিন ডলার।
ফরাসি প্রতিনিধি বুয়ন সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফ্রান্স সফরের জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘ফ্রান্স সরকার সব সময় রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাঙলাদেশের পাশে থাকবে।’ তিনি এসময় দু‘দেশের পারস্পরিক সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও দৃঢ় হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
ফ্রান্সের প্রতিনিধি দলটি শিগগিরই বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তার জন্য সরেজমিনে কক্সবাজার পরিদর্শন এবং তাদের জন্য স্বাস্থ্য ও স্যানিটেশন সামগ্রী বিতরণ করবে বলে স্পিকারকে অবহিত করেন। স্পিকার রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের পাশে থাকায় ফ্রান্সের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। সংসদ ভবনে স্পিকারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মারি-আনিক বুর্দি উপস্থিত ছিলেন।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী