নিজস্ব প্রতিবেদক : পদ্মাসেতুতে ওঠতে নিষেধ করায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্যকে পাগলের প্রলাপ বলেছেন প্রধানমন্ত্র্রী শেখ হাসিনা। বলেছেন এই ধরনের ‘পাগলের’ বক্তব্য দেশবাসী শুনবে না। বুধবার জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর পর্বে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন শেখ হাসিনা। সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ফজিলাতুন নেসা বাপ্পী পদ্মাসেতু নিয়ে খালেদা জিয়ার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কছে।
গত ২ জানুয়ারি রাজধানীতে ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এক অনুষ্ঠানে পদ্মাসেতুতে না উঠতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান খালেদা জিয়া। সেদিন তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের আমলে এই সেতু হবে না। কোনো একটা যদি জোড়াতালি বানায়, সেই সেতুতে কেউ উঠতে যাবেন না, অনেক রিস্ক আছে।’ এই বক্তব্যের দুই দিন পর খালেদা জিয়ার বুদ্ধিমত্তা নিয়ে এবং পরে তার মানসিক সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
সংসদে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ ধরনের মন্তব্যকে পাগলের প্রলাপ হিসেবে মেনে নেওয়াই ভালো। আমার মনে হয় এই ধরনের পাগলের কথায় কারও বেশি মনোযোগ না দেওয়াই ভালো। কারণ কোনো সুস্থ মানুষ এ ধরনের কথা বলতে পারেন না।’
পদ্মাসেতু জোড়াতালি দিয়ে তৈরি হচ্ছে-খালেদা জিয়ার এমন বক্তব্যের জবাবে খালেদা জিয়া বলেন, ‘সেতু তো বিভিন্ন পার্ট (অংশ) তৈরি করে করে নির্মাণ হয়। এক্ষেত্রে তো জোড়া দিয়েই সেতু করা হয়। জোড়া না দিলে তো সেতু হয় না।’ ‘কিন্তু, উনি (খালেদা জিয়া) জোড়াতালি দিয়ে কী বোঝাতে চেয়েছেন, তা আমার বোধগম্য নয়। তবে, বাংলাদেশে তো একটা প্রচলিত কথা রয়েছে পাগলে কি না কয়, ছাগলে কি না খায়।’
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন চলতি বছরের শেষ দিকে দেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সেতুতে যান চলাচল শুরু হবে বলে আশা করছেন তিনি। আর এই সেতু চালু হলে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এক শতাংশের বেশি বাড়বে আর দারিদ্র্যের হার দশমিক ৪৬ শতাংশ হারে কমবে। এই সেতু নির্মাণের সময় বিশ্বব্যাংকের দুর্নীতি চেষ্টার অভিযোগ নিয়েও কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, তার আত্মবিশ্বাস ছিল বলেই তিনি বিশ্বব্যাংককে চ্যালেঞ্জ দিয়েছিলেন। আর এখন প্রমাণ হয়েছে, এই সেতুতে কোনো দ্র্নুীতি হয়নি। ‘দুর্নীতি করতে হয়, দেশের মানুষর ভাগ্য গড়তে এসেছি’- আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলেন শেখ হাসিনা।
