ক্রীড়া প্রতিবেদক : নতুন মৌসুমে স্বাধীনতা কাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট দিয়ে পর্দা উঠবে । ১৬ জানুয়ারি থেকে মাঠে গড়াবে স্বাধীনতা কাপ। আবারো স্বাধীনতা কাপের টাইটেল স্পন্সর হয়েছে ওয়ালটন গ্রুপ। এর আগে ২০১৩ সালে স্বাধীনতা কাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের টাইটেল স্পন্সর হয়েছিল ওয়ালটন। বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাকক্ষে স্বাধীনতা কাপের পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন গ্রুপের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর ও ড্র অনুষ্ঠিত হয়। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ফেডারেশনের পক্ষে স্বাক্ষর করে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদী। আর ওয়ালটনের পক্ষে স্বাক্ষর করেন ওয়ালটন গ্রুপের অপারেটিভ ডিরেক্টর এফএম ইকবাল বিন আনোয়ার (ডন)। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ ও সদস্য আমিরুল ইসলাম বাবু। বাফুফের সিনিয়র সহ সভাপতি ও পেশাদার লিগ কমিটির চেয়ারম্যান আবদুস সালাম মুর্শেদী বলেন, এবার স্বাধীনতা কাপে আমরা বিদেশি খেলোয়াড় খেলাচ্ছি না। এতে আমাদের দেশি খেলোয়াড়রা নিজেদের প্রমাণের সুযোগ পাবে।
উল্লেখ্য, বিদেশি কোটার কারণে এবার স্থানীয় খেলোয়াড়দের অনেকেই বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে পুরো সময় খেলতে পারেনি। তারাও স্বাধীনতা কাপে খেলতে পারবে। দেশি খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্স যাছাই-বাছাই করা যাবে এ টুর্নামেন্ট দিয়ে। সামনে জাতীয় দলের খেলা আছে। সবকিছু বিবেচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
প্রিমিয়ার লিগে অংশ নেওয়া ১২টি দল এবারের এই ওয়ালটন স্বাধীনতা কাপে অংশ নিবে। ১২টি দলকে চারটি গ্রুপে বিভক্ত করে লিগ পর্বের খেলা অনুষ্ঠিত হবে। চার গ্রুপ থেকে শীর্ষ আটটি দল কোয়ার্টার ফাইনালে খেলবে। সেখান থেকে চারটি দল সেমিফাইনাল ও দুটি দল ফাইনাল খেলবে। টুর্নামেন্টের বাজেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৬০ লাখ টাকা। টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন দল ৫ লাখ ও রানার্স-আপ দল ৩ লাখ টাকা পাবে। এ ছাড়া অংশ নেওয়া প্রত্যেকটি দল ২ লাখ টাকা করে অংশগ্রহণ ফি পাবে। পাশাপাশি পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন গ্রুপও বেশ কিছু পুরস্কার প্রদান করবে। খেলা হবে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে। প্রতিদিন দুটি করে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। গ্রুপ পর্ব শেষে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দল কোয়ার্টার ফাইনালে খেলবে। এএফসি কাপের প্লে-অফ কোয়ালিফাইংয়ের কারণে মাঝখানে বিরতি দেয়া হয়েছে। যে কারণে
ফাইনালে হবে ফেব্রুয়ারি প্রথম সপ্তাহে।
২৩ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে এএফসি কাপের প্লে-অফ কোয়ালিফাইংয়ের প্রথম ম্যাচে মালদ্বীপের টিসি স্পোর্টের বিপক্ষে খেলবে সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব। ৩০ জানুয়ারি মালেতে অ্যাওয়ে ম্যাচে মুখোমুখি হবে উভয় দল। ড্রতে এ গ্রুপে পরেছে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব, রহমতগঞ্জ মুসলিম ফ্রেন্ডস সোসাইটি ও মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। বি গ্রুপে রয়েছে ব্রাদার্স ইউনিয়ন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র ও ফরাশগঞ্জ স্পোর্টিং ক্লাব। সি গ্রুপে রয়েছে ঢাকা আবাহনী লিমিটেড, শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র ও টিম বিজেএমসি। আর ডি গ্রুপে পরেছে চট্টগ্রাম আবাহনী, আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ ও সাইফ স্পোর্টিং ক্লাব।
