Friday , 24 March 2023
আপডেট
Home » জাতীয় » সুষ্ঠু ভোটে আ’লীগ ক্ষমতায় গেলে হাতে চুড়ি পরবো: কাদের সিদ্দিকী
সুষ্ঠু ভোটে আ’লীগ ক্ষমতায় গেলে হাতে চুড়ি পরবো: কাদের সিদ্দিকী
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী

সুষ্ঠু ভোটে আ’লীগ ক্ষমতায় গেলে হাতে চুড়ি পরবো: কাদের সিদ্দিকী

নিজস্ব প্রতিবেদক : কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, ‘আগামীতে সঠিকভাবে ভোট হলে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় যাবে না, আর যদি যায় তাহলে আমি হাতে চুড়ি পরবো। এখন তো বিএনপি পালিয়ে আছে কিন্তু আওয়ামী লীগ পালিয়েও বাঁচবে না।’
তিনি বলেন, ‘মাত্র ১৩ পার্সেন্ট ভোটে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় থাকা শেখ হাসিনার মানায় না। আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুকে ভালবাসে না, তারা ভালবাসে ক্ষমতা। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা এখন আর আওয়ামী লীগ করে না বলেই সেই দলে বঙ্গবন্ধু হত্যার জন্য দায়ী হাসানুল হক ইনু আর বঙ্গবন্ধুর চামড়া দিয়ে জুতার বানানোর শ্লোগান দেয়া মতিয়া চৌধুরীর মতো মন্ত্রী আছে।’ কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আমাকে ইনু-মতিয়া’র সাথে বেহেশতে যেতে বললেও যাবো না।’
বৃহস্পতিবার নাটোর শহরের কানাইখালী পুরাতন বাসস্ট্যান্ডে নাটোর জেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সম্মেলন উপলক্ষে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আগে বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগে একের অন্যের আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিল আর এখন শত্রুতা।
বঙ্গবীর বলেন, স্বাধীনতার পরে জাসদ যা হত্যা না করেছে আওয়ামী লীগ নিজেরাই নিজেদের লোককে তার চেয়ে অনেক বেশি হত্যা করেছে।
তিনি নাটোরের রাজনীতিবিদদের সমালোচনা করতে গিয়ে বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পরে তিনি নাটোরে আটদিন অবস্থান করে আব্দুল কুদ্দুসকে সাথে নিয়ে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কাজ করে গেছেন। আর পরে নিজ দলের কাজে আহম্মদপুর স্কুল মাঠে তাঁবু খাটিয়ে থাকার সময় সেই আব্দুল কুদ্দুসই গুন্ডা বাহিনী পাঠিয়ে তাদের তাঁবু ভেঙ্গে দেন। তিনি বলেন, আব্দুল কুদ্দুসের মতো নিমক হারাম আর আছে বলে আমার জানা নাই।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, তিনি নাটোরে তার দলের জন্য গামছার বীজ বপণ করতে এসেছেন। এই বীজ থেকেই এক সময় হাজার হাজার গামছার কর্মী-সমর্থক তৈরি হবে ইনশাআল্লাহ, আশাবাদ তার।
নাটোর জেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের আহবায়ক শহীদুল ইসলাম মুন্সির সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বীর প্রতিক হাবিবুর রহমান তালুকদার, কেন্দ্রীয় যুব শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুন নবী সোহেল, স্থানীয় নেতা মুক্তিযোদ্ধা তমসের আলী, সাইফুল ইসলাম, কায়সার জামান খান, এসএম আয়নাল হোসেন ও সোহরাব হোসেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*