ডেস্ক রিপোর্ট: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের শান্তি ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে দুর্নীতি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং জঙ্গিবাদে জড়িত থাকা ব্যক্তিদের অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি করতে হবে। অতীতে নিজের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত প্রত্যেকটি মামলারও তদন্ত হয়েছে বলেও জানান তিনি। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ইতালির রোমে দলীয় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
মঙ্গলবার পারকো দেই প্রিন্সিপি গ্র্যান্ড হোটেল অ্যান্ড স্পাতে আওয়ামী লীগের ইতালি শাখার পক্ষ থেকে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা একটি শান্তিপূর্ণ পরিবেশ প্রতিষ্ঠা করতে চাই। আমরা দেশের উন্নয়ন চাই এবং জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন করতে চাই। যদি আমরা দুর্নীতি, জঙ্গিবাদ ও স্বজনপোষণ বন্ধ এবং নিয়ন্ত্রণ করি তবেই তা করা সম্ভব হবে।’
অতীতে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাগুলোর প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি প্রত্যেকটি মামলায় তদন্ত পরিচালনা এবং প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়েছিলেন। শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি বলেছিলাম এসব মামলায় তদন্ত হতে হবে এবং প্রত্যেকটি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। মামলাটির মেরিট কী ছিল তা দেখতে চাই আমরা।’
প্রধানমন্ত্রী জানান, তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত প্রত্যেকটি মামলার তদন্ত হয়েছে এবং প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি কোনও মামলা প্রত্যাহার করিনি এবং করতে দিইনি। কেন আমি তা করবো? আমি জানি, আমি কোনও দুর্নীতি করিনি।’
পদ্মা সেতু নির্মাণকে কেন্দ্র করে বিশ্বব্যাংকের অভিযোগের প্রসঙ্গও টেনে আনেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, হিলারি ক্লিনটন সে সময় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন এবং তখন পদ্মা সেতু প্রকল্প নিয়ে তার (শেখ হাসিনা) দুর্নাম করার জন্য ড. মুহম্মদ ইউনূস মরিয়া হয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর এ ইস্যুতে আমার ছেলেকে তিনবার হুমকি দিয়েছে। পদ্মা সেতু প্রকল্পে যে কোনও দুর্নীতি হয়নি তা কানাডীয় আদালতে প্রমাণ হয়েছে। আমি দুর্নীতি করার জন্য ক্ষমতায় আসিনি। আমি জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য ক্ষমতায় এসেছিলাম, আমাদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য নয়।’
দেশের বিচার বিভাগকে স্বাধীন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আদালতে প্রমাণ হয়েছে। বিএনপি নেত্রী এতিমদের টাকা পুরোপুরি আত্মসাৎ করেছেন দেখে আদালত তার বিচার করেছে এবং রায় দিয়েছে।’
ইতালি আওয়ামী লীগের প্রেসিডেন্ট হাজি মোহাম্মদ ইদ্রিসের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী।
