ক্রীড়া প্রতিবেদক : আসন্ন সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ও এশিয়ান গেমসকে সামনে রেখে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছেন বাফুফে। পরিকল্পনার অংশ হিসাবে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি) দুই সপ্তাহের আবাসিক ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়েছে। ক্যাম্পের জন্য নবীন-প্রবীনের সমন্বয়ে প্রাথমিকভাবে ৩৫ জন ফুটবলারকে নির্বাচন করা হয়েছে। মঙ্গলবার প্রতিবেদন জমা দিতেই বাফুফে ভবনে এসেছিলেন ডাক পাওয়া ফুটবলারা। তবে জুয়েল রানা ও ইয়াসিন খান চোটের কারণে ক্যাম্পে যোগ দিতে পারছেন না। এদিন আবাসিক ক্যাম্পে যোগদানের জন্য বিকেএসপির উদ্দেশে রওনা দেন ২৬ ফুটবলার। বাকি ৯ জন ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে দলের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত হবেন। প্রাথমিক তালিকায় ঢাকা আবাহনীর কোন খেলোয়াড়কে রাখা হয়নি। এএফসি কাপের জন্যই মূলত তাদের রাখেনি বলে সূত্রে জানা গেছে। প্রাথমিক তালিকায় চট্টগ্রাম আবাহনীর সর্বোচ্চ সংখ্যক ৯ খেলোয়াড় জায়গা পেয়েছেন।
বিকেএসপিতে আবাসিক ক্যাম্প শেষে ২৮ ফেব্রুয়ারি কাতার যাবেন মামুনুল-জাহিদরা। সেখানে প্রায় দুই সপ্তাহের ক্যাম্প শেষে ১৪ মার্চ ঢাকায় ফিরবে ফুটবলাররা। এরপর বিশ্রাম নিয়ে ১৯ মার্চ থাইল্যান্ডে যাবে বাংলাদেশ দল। সেখানে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে তারা। তারপর আগামী ২৭ মার্চ স্বাগতিক লাওসের বিপক্ষে ‘ফিফা টায়ার-১ আন্তর্জাতিক ফুটবল ম্যাচ’ খেলবে বাংলাদেশ দল। ঢাকায় ফিরে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ও এশিয়ান গেমসের জন্য প্রস্তুতি নেবে বাংলাদেশ দল। মঙ্গলবার বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন ভবনে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় দল নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যান ও বাফুফের সহ-সভাপতি কাজী নাবিল আহমেদ, মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম বাবু, দলের ম্যানেজার সত্যজিৎ দাশ রূপু এবং দলের হেড কোচ এন্ড্রু ওর্ড। জাতীয় দলের প্রধান কোচ অ্যান্ড্রু অর্ড বলেন, গত ৩-৪ মাস ধরে পরিকল্পনা তৈরি হয়েছে। তবে আমি এখনই প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি না। কাজ করে দেখাতে চাই। সভাপতিও বলেছেন, অজুহাত দেখানোর সময় শেষ হয়েছে। তবে মাত্র এক ম্যাচ খেলেই আমরা ভালো অবস্থায় চলে আসতে পারব না। আমাদের বাস্তববাদী হতে হবে।
কোচ আরও বলেন, আমাদের ধৈর্য ধারণ করতে হবে। আগে এটা বুঝতে হবে যে আপনি কোথায় আছেন। কোন কোন জায়গায় উন্নতি করতে হবে। খেলোয়াড়দের ৯৫ মিনিট পর্যন্ত খেলার জন্য তৈরি হতে হবে। আমার কাজ হলো পদ্ধতিগুলো ঠিক আছে কিনা, না থাকলে সেটা নিশ্চিত করা। আমি সঠিক খেলোয়াড় বাছাই করি এবং সঠিক পজিশনে খেলার জন্য তাকে তৈরি করি। খেলোয়াড়দেরও তাদের কাজটা ঠিকঠাক করতে হবে। বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন বলেন, মাঠে আমরা কেউই খেলে দিতে পারব না। কোচের পরামর্শে খেলোয়াড়দের সেটা করতে হবে। আমরা সব সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা। আমরা সেটাই করছি। কাতারে সব ধরণের প্রস্তুতির সুবিধা আছে। খেলোয়াড়দের আমরা সেখানে প্রস্তুতি নেয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছি। এখন দায়িত্ব খেলোয়াড়দের। ক্যাম্পে ডাক পাওয়া খেলোয়াড় হলেন : গোলরক্ষক : মাহফুজ হাসান প্রীতম, মিতুল হোসেন, আনিসুর রহমান জিকু, আশরাফুল ইসলাম রানা।
রক্ষণভাগ : মো. জাহিদ, মনজুর রহমান মানিক, সাদ্দাম হোসেন অ্যানি, উত্তম কুমার বণিক, বিশ্বনাথ ঘোষ, তপু বর্মণ, রহমত মিয়া, নুরুল নাইয়ুম ফয়সাল, সুশান্ত ত্রিপুরা।
মধ্যমাঠ : পাশবন মোল্লা, মামুনুল ইসলাম মামুন, ফয়সাল মাহমুদ, জাবেদ খান, আলী হোসেন, ফজলে রাব্বি, জামাল ভূঁইয়া, হেমন্তু ভিনসেন্ট বিশ্বাস, মো. ইব্রাহিম, মো. স্বাধীন, রহিম উদ্দিন, জাহিদ হোসেন, মাসুক মিয়া জনি, আবদুল্লাহ।
আক্রমনভাগ : তকলিস আহমেদ, বিপলু আহমেদ, মতিন মিয়া, আবু সুফিয়ান সুফিল, জাফর ইকবাল এবং তৌহিদুল আলম সবুজ।
