নিজস্ব প্রতিবেদক: মো. শফিকুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী, সওজ, কারখানা বিভাগ, বগুড়া, সান্তাহার-এর বিরুদ্ধে দুর্নীতি, অর্থ পাচার, স্বজনপ্রীতিসহ নানা গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। বর্তমান আইনে শুধুমাত্র নির্বাহী বৃক্ষপালনবিদ, রাজশাহী ছাড়া অন্য কারও গাছ কর্তন বা বিক্রয় করার ক্ষমতা না থাকলেও ক্ষমতার অপব্যবহার করে সান্তাহার, বগুড়া, অফিস ভবনের পিছনের পূর্ব-পশ্চিম ও উত্তর-দক্ষিণ সাইডের বিপুল সংখ্যক গাছ কর্তন করে দুই ট্রাক কাঠ বাইরে ইটভাটায় বিক্রয় করে টাকা সরকারি কোষাগারে জমা না দিয়ে শফিকুল ইসলাম নিজেই আত্মসাৎ করেন।
সমস্ত নিয়ম-কানুন উপেক্ষা করে চলতি অর্থবছরে প্রথম বরাদ্দের অর্থের মধ্যে তিনি নিজেই জনৈক ঠিকাদারের মাধ্যমে ৫,৩৬,০০০/= টাকার কাজ করেন যা সান্তাহার বগুড়ার সওজ-এর তালিকাভুক্ত সমস্ত ঠিকাদার অবগত। দ্বিতীয় বরাদ্দের ৫,৮৪,০০০/= টাকা এবং ৪,১৭,০০০/= টাকার ঠিকাদারীর কাজও তিনি নিজেই করেন। তিনি নিজেই ঠিকাদারী কাজের সঙ্গে যুক্ত তা দিবালোকের ন্যায় পরিষ্কার হলেও তার বিরুদ্ধে কোন এক রহস্যজনক কারণে কোন ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছেনা।
এই শফিকুল ইসলাম চট্টগ্রামে চাকরিরত অবস্থায় তার বিরুদ্ধে তিন চারটি দুর্নীতির মামলা হয়েছিল। সে মামলা ধাপাচাপা দেয়ার জন্য বিভিন্ন ঠিকাদারের কাছ থেকে ব্যাপক চাঁদাবাজির মাধ্যমে ২৫ লক্ষ টাকা সংগ্রহ করেন যা সে সময় স্থানীয় ও জাতীয় গণমাধ্যমে আলোচনা হয়।
সওজ কারখানা বিভাগ সান্তাহার বগুড়ার আবাসিক এলাকায় একটি পুকুর আছে। উক্ত পুকুরে মাছের চাষ করে তা গোপনে বিক্রি করে এর সমুদয় অর্থ শফিকুল ইসলাম নিজের পকেটে ভরে।
অতিরিক্ত দায়িত্ব থাকায় সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রণ বিভাগ বগুড়ার বিভিন্ন যন্ত্রপাতি, সরঞ্জামাদি ভাড়া প্রদান করে সমুদয় টাকা আত্মসাৎ করেছেন। কোনও টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেন নাই।
নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলামের নানা রকম দুর্নীতি, অনিয়মের সুষ্ঠু তদন্তের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে সান্তাহারের ঠিকাদারদের পক্ষ থেকে আবেদন জানানো হয়। যার পরিপ্রেক্ষিতে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ইমাজ উদ্দিন প্রামানিক তদন্ত সাপেক্ষে শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য জোর সুপারিশ করেন।
যথাযথ কর্তৃপক্ষ এই দুর্নীতিবাজ নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে দ্রæত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিবেন এমনটাই আশা করেন সংশ্লিষ্ট ভুক্তভোগীরা।
