ক্রীড়া প্রতিবেদক : দেশের ফুটবলের উন্নয়নে পুরুষ ও মহিলা দলের দেশে- বিদেশে প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন কর্মকান্ড পরিচালনায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) প্রয়োজন বিপুল পরিমাণ অর্থ। জাতীয় অন্যান্য ফেডারেশনের মতো বাফুফে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে নিয়মিত অনুদান পায়না। তাদের চলতে হয় ফিফা ও এএফসির অনুদান ও বিভিন্ন টুর্নামেন্টে পৃষ্ঠপোষকদের কাছ থেকে পাওয়া অর্থে। বাফুফের আবেদনে ইতোপূর্বে ২০১৪ সালে প্রথমবার লটারি
আয়োজনের অনুমতি দিয়েছিল সরকার। সেবার প্রায় এক কোটি টাকা আয় করেছিল বাফুফে, যার প্রায় সবটাই ব্যয় হয়েছে খেলোয়াড়দের প্রশিক্ষণে। তারই ধারবাহিকতায় শুরু হলো দ্বিতীয় পর্ব। ২০ টাকার মূল্যমানের লটারীর ড্র মে। মঙ্গলবার বাফুফে ভবনে লটারির দ্বিতীয় পর্বের উদ্বোধন করেন নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান। বাফুফের সিনিয়র
সহ-সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাফুফে সদস্য শওকত আলী খান জাহাঙ্গীর, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব মাসুদ করিম ও লটারী পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান জে কে ইন্টারন্যাশনালের পরিচালক হাজী মো. আলম কবির। মন্ত্রী নিজে এক হাজার টাকার টিকেট কিনে বিক্রির সূচনা করেন। আগামী ২০ মার্চ থেকে সারা দেশে একযোগে টিকিট বিক্রি শুরু হবে। প্রথম পুরস্কার ত্রিশ লাখ টাকা, দ্বিতীয় পুরস্কার পাচ লাখ টাকা এবং তৃতীয় পুরস্কার দুই লাখ টাকা। সবমিলিয়ে পঞ্চাশ লাখ টাকায় ৬২৪টি পুরস্কার। দেশের সকল সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক সহ এজেন্ট, সাব-এজেন্ট, বিক্রয় প্রতিনিধি, হকার ও ভ্রাম্যমাণ গাড়ি থেকে লটারীর টিকিট বিক্রি হবে।
