আজকের প্রভাত প্রতিবেদক : বাংলাদেশের অন্যতম ডিজিটাল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বাংলালিংক ও সরকারের আইসিটি বিভাগের অন্তর্ভুক্ত বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের যৌথ উদ্যোগে শুরু হতে যাচ্ছে ডিজিটাল উদ্যোক্তাদের উন্নয়নমূলক কর্মসূচি ‘আইটি ইনকিউবেটর’-এর দ্বিতীয় পর্ব। দেশের সম্ভাবনাময় ডিজিটাল স্টার্টআপগুলোকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের লক্ষ্য নিয়ে শুরু হচ্ছে এই কর্মসূচি।
সোমবার, রাজধানীর কাওরান বাজারের জনতা টাওয়ারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এবারের কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের আবেদন সংক্রান্ত ঘোষণা দেওয়া হয়। সংবাদ সম্মেলনে ছিলেন বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ম্যানেজিং ডিরেক্টর হোসনে আরা বেগম, বাংলালিংক-এর চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান এবং দুই প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তারা।
২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত আইটি ইনকিউবেটর-এর সফল সমাপ্তির পর এবার কর্মসূচিটির দ্বিতীয় পর্বের যাত্রা শুরু হচ্ছে উদ্যমী উদ্যোক্তাদের অবকাঠামো, উপকরণ ও নির্দেশনাগত সাহায্য প্রদানের লক্ষ্য নিয়ে। অংশগ্রহণকারী স্টার্টআপগুলোর মধ্য থেকে অভিনবত্ব ও ব্যবসায়িক সম্ভাবনার ভিত্তিতে কয়েকটি স্টার্টআপকে নির্বাচন করে কাওরান বাজারের জনতা টাওয়ারে অবস্থিত আইটি ইনকিউবেটর-এ উল্লিখিত সুবিধাগুলো প্রদান করা হবে। কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের জন্য আগ্রহী স্টার্টআপগুলোকে https://incubator.banglalink.net এই লিংকে ভিজিট করে আবেদন করতে হবে। আবেদন করার সময়সীমা ১৯ মার্চ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত।
আইটি ইনকিউবেটর বাংলালিংক-এর স্বত্ত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠান ভিওনের ফ্ল্যাগশিপ কর্পোরেট রেসপন্সিবিলিটি প্রোগ্রাম ‘মেক ইওর মার্ক’-এর অন্তর্ভুক্ত। বিশ্বের যেসব স্থান ভিওনের কার্যক্রমের আওতাধীন সেসব স্থানের আইটি খাতের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে প্রতিষ্ঠানটি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ম্যানেজিং ডিরেক্টর হোসনে আরা বেগম বলেন, সরকার ও একটি কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান কিভাবে সম্মিলিত উদ্যোগের মাধ্যমে আইটি খাতের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারে তার একটি উদাহরণ সৃষ্টি করেছে আইটি ইনকিউবেটর। আমি তরুণ উদ্যোক্তাদের উন্নয়নের লক্ষ্যে এ ধরনের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য বাংলালিংক ও ভিওনকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। তরুণ উদ্যোক্তাদের দক্ষতার ওপর আমার পূর্ণ বিশ্বাস রয়েছে। সাফল্য অর্জনের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে তাদের সঠিক নির্দেশনা ও প্রয়োজনীয় অন্যান্য সাহায্য প্রয়োজন। আইটি ইনকিউবেটর-এর মতো উদ্যোগ আরো স্টার্টআপকে এগিয়ে আসতে এবং আইটি খাতে ভূমিকা রাখতে উদ্বুদ্ধ করবে।
বাংলালিংক-এর চিফ কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স অফিসার তাইমুর রহমান বলেন, দেশের উদীয়মান স্টার্টআপগুলোর উন্নয়নের লক্ষ্যে আইটি ইনকিউবেটর ২.০ শুরু করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। ডিজিটালাইজেশন একটি চলমান প্রক্রিয়া, যার অগ্রগতির জন্য নতুন ও অভিনব চিন্তার প্রয়োজন। বাংলালিংক এই প্ল্যাটফর্ম প্রস্তুত করেছে যাতে করে স্টার্টআপগুলো এখানে নিজেদেরকে আরো সমৃদ্ধ করে ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে ভূমিকা রাখতে পারবে। আমরা বিশ্বাস করি, মেধাবী তরুণ উদ্যোক্তাদের প্রয়োজনীয় সব ধরনের সুবিধা দেওয়া গেলে তারা অচিরেই আইটি খাতের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে পারবে।
২০১৬ সালের জুলাই মাসে প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় ও ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন্স ইউনিয়নের সেক্রেটারি জেনারেল হওলিন ঝাও আইটি ইনকিউবেটর উদ্বোধন করেন। প্রথম বারের আয়োজনে অংশগ্রহণকারী ৪০০ স্টার্টআপের মধ্য থেকে সেরা কয়েকটিকে এক বছরের জন্য আইটি ইনকিউবেটরে যাবতীয় সুবিধা প্রদান করা হয়।
