আজকের প্রভাত প্রতিবেদক : দেশের সফটওয়্যার খাতের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড সার্ভিসেসের (বেসিস) ২০১৮-২০ মেয়াদে নির্বাচনে ‘টিম হরাইজন’ প্যানেল বিজয়ী হয়েছে।
শনিবার রাজধানীর বেসিস কার্যালয়ে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত নয় কার্যনির্বাহী সদস্য নির্বাচিত করতে ৫৪২ জন সদস্য ভোট দেন। এর মধ্যে সাধারণ ক্যাটাগরিতে ৩৯৭ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। সঠিকভাবে ভোট না দেওয়ায় ১৩টি ভোট বাতিল করা হয়। আর সহযোগী ক্যাটাগরিতে ১৪৫ জন ভোট দেন। এক্ষেত্রেও চারটি ভোট বাতিল হয়। বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটাভুটির পর সন্ধ্যায় কার্যনির্বাহী পরিষদ নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান এস এম কামাল ফলাফল ঘোষণা করেন।
সাধারণ এবং সহযোগী ক্যাটাগরিতে নয় কার্যনির্বাহী সদস্যের বিপরীতে টিম হরাইজন থেকে ছয় জন বিজয়ী হয়েছেন। এর মধ্যে টিম হরাইজনের দলনেতা মেট্রোনেটের প্রধান নির্বাহী বেসিসের বর্তমান সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর সর্বোচ্চ ১৯৮ ভোট পেয়েছেন।
এছাড়া একই প্যানেল থেকে স্পেকট্রাম সফটওয়্যার অ্যান্ড কনসালটিং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুশফিকুর রহমান (১৮৩ ভোট), ইউওয়াই সিস্টেমস লিমিটেডের চেয়ারম্যান ফারহানা এ রহমান (১৭৮ ভোট), বিজনেস অটোমেশন লিমিটেডের পরিচালক শোয়েব আহমেদ মাসুদ (১৮১ ভোট), জানালা বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানজিদ সিদ্দিক স্পন্দন (১৮০ ভোট) এবং শুটিং স্টার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দিদারুল আলম সানি (১৭৫ ভোট) নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া উইন্ড অব চেঞ্জ প্যানেলের দলনেতা দোহাটেক নিউ মিডিয়ার চেয়ারম্যান লুনা শামসুদ্দোহা এবং দুর্জয় প্যানেলের দলনেতা ফ্লোরা লিমিটেডের মোস্তাফা রফিকুল ইসলামের ডিউক বিজয়ী হয়েছেন। আর সহযোগী ক্যাটাগরিতে আজকের ডিলের প্রধান নির্বাহী ফাহিম মাশরুর নির্বাচিত হয়েছেন। আগামী ২ এপ্রিল আনুষ্ঠানিক পদবণ্টন নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও বিজয়ী প্যানেলের প্রধান সৈয়দ আলমাস কবীর শনিবার রাতেই তারা পদবণ্টন সম্পন্ন করেছেন। নতুন কমিটিতে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিচ্ছেন সৈয়দ আলমাস কবীর। এছাড়া সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ফারহানা এ রহমান, ভাইস প্রেসিডেন্ট মুশফিকুর রহমান ও শোয়েব আহমেদ এবং অন্য বিজয়ীরা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
এবারের নির্বাচনে প্রাথমিকভাবে তিন প্যানেল ও স্বতন্ত্রভাবে ৪০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। এর মধ্যে সাধারণ ক্যাটাগরিতে আট পদের বিপরীতে ৩৪ জন এবং সহযোগী ক্যাটাগরিতে একমাত্র পদের বিপরীতে ছয় জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। সর্বশেষ প্রার্থীতা প্রত্যাহারের পর নির্বাচনে সাধারণ ক্যাটাগরিতে ২৬ প্রার্থী এবং সহযোগী ক্যাটাগরিতে চার প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
