বিনোদন প্রতিবেদক : শুদ্ধ উচ্চারণ, বানানচর্চা ও ব্যাকরণের সঠিক ব্যবহার বাড়াতে ইস্পাহানি মির্জাপুর শুরু করেছে ২০১৭ সাল থেকে বাংলা ভাষাবিষয়ক প্রতিযোগিতা ‘ইস্পাহানি মির্জাপুর বাংলাবিদ’। তারই ধারাবাহিকতায় এবারও শুরু হলো অতি অল্প সময়ের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে ওঠা এই প্রতিযোগিতা। এ বছরও শুদ্ধ বাংলা ভাষার ব্যবহার, বানানচর্চা, শুদ্ধ উচ্চারণ ও ব্যাকরণের সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমে ভিন্ন ভিন্ন পর্যায় শেষে চূড়ান্ত বিজয়ী নির্ধারণ করা হবে। দেশসেরা বাংলাবিদকে পুরস্কার হিসেবে দেয়া হবে ১০ লাখ টাকার মেধাবৃত্তি ও অন্যান্য উপহার সামগ্রী। এবারও প্রতিযোগিতার স্লোগান থাকছে ‘বাংলায় জাগো ভরপুর’। ইস্পাহানি মির্জাপুরের পৃষ্ঠপোষকতা ও চ্যানেল আইয়ের সহযোগিতায় বাংলা ভাষা নিয়ে মেধাভিত্তিক এই টিভি রিয়েলিটি শো’র দ্বিতীয় বর্ষের জন্য প্রাথমিক নাম নিবন্ধন কার্যক্রম এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। চলবে আগামী ১৯শে এপ্রিল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার নিয়মাবলী www.banglabid.com ওয়েবসাইটে জানা যাবে। ইস্পাহানি মির্জাপুর বাংলাবিদ-এ নিবন্ধন করা যাচ্ছে মোবাইল ফোনের মাধ্যমেও। এজন্য মোবাইলে মেসেজ অপশনে গিয়ে লিখতে হবে BANGLABID <space> NAME <space> AGE <space> CLASS <space>ZONE [DHK. RAJ, RNG, BAR, SYL, CTG, KHL] এরপর মেসেজটি পাঠিয়ে দিতে হবে ৬৯৬৯ নম্বরে। অনুষ্ঠানটির দ্বিতীয় বর্ষের ঘোষণা উপলক্ষে গতকাল শনিবার চ্যানেল আই কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। প্রতিযোগিতার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন আয়োজক সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তাব্যক্তিরা। সংবাদ সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন- ইমেরিটাস প্রফেসর আনিসুজ্জামান। চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগরের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন- বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান। এ সময় আয়োজক প্রতিষ্ঠান ইস্পাহানি টি লিমিটেড-এর প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা শান্তনু বিশ্বাস, ইস্পাহানি গ্রুপের প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা সাইদ হাসান, ইস্পাহানি টি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক ওমর হান্নানসহ ইস্পাহানি ও চ্যানেল আইয়ের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়- এই প্রতিযোগিতার মূল উদ্দেশ্য সারা দেশের ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্য থেকে মেধা ও মননের মিশেলে বাংলাবিদ খুঁজে বের করা। যারা বাংলা ভাষা, বানান এবং বাংলা শব্দের ব্যবহারে দক্ষতা দেখাতে পারবে তাদের নিয়েই এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হচ্ছে। দেশের সাতটি বিভাগীয় শহরে (ঢাকা ও ময়মনসিংহের বাছাই একসাথে) ষষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে এ প্রতিযোগিতার বাছাই পর্ব অনুষ্ঠিত হবে। সাতটি বিভাগীয় শহর থেকে প্রাথমিক বাছাই পর্বে ৮০ জন ছাত্রছাত্রীকে মূল পর্বে নিয়ে আসা হবে। পরে ১৫টি স্টুডিও রাউন্ড পর্বে চূড়ান্ত বিজয়ীদের নির্বাচন করা হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক এবং ভাষা বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত বিচারকমণ্ডলী বাছাই প্রক্রিয়ায় যুক্ত থাকবেন। প্রতিযোগিতার প্রধান বিচার কার্য পরিচালনা করবেন অধ্যাপক ড. সৌমিত্র শেখর, কথাশিল্পী আনিসুল হক ও অভিনেত্রী ত্রপা মজুমদার।
মেধা ও মননভিত্তিক ভিন্ন ভিন্ন বাছাই প্রক্রিয়া পার হয়ে যারা সত্যিকার ভাষা-লড়াকু হতে চায় তাদের নিবন্ধন করার জন্য আহ্বান করা হচ্ছে। চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় শীর্ষস্থান অধিকারী প্রতিযোগী পাবে ১০ লাখ টাকার মেধাবৃত্তি। দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারী পাবে যথাক্রমে ৩ লাখ টাকা ও ২ লাখ টাকার মেধাবৃত্তি। প্রথম ১০ জন প্রতিযোগী পাবে ১টি ল্যাপটপ এবং ব্যক্তিগত লাইব্রেরি গড়ে তোলার জন্য ৫০ হাজার টাকার সমমূল্যের বাংলা বই ও বইয়ের আলমারি দেয়া হবে। চূড়ান্ত প্রতিযোগিতায় মেধাবৃত্তি অর্জনকারীদের বৃত্তি ব্যাংক-এ স্থায়ী আমানত হিসেবে প্রদান করা হবে। যা বিজয়ীরা ১৮ বছর বয়স হলে, আবেদন করে পুরস্কারের অর্থ তুলে নিতে পারবে। ১৮ বছর বয়স হওয়ার আগে এই বৃত্তির ‘আসল’ তুলে নেয়া যাবে না।
