Sunday , 2 April 2023
আপডেট
Home » গরম খবর » ডিআইজি প্রিজন পার্থ গোপালকে বাসা থেকে ঘুষের ৮০ লাখ টাকাসহ গ্রেফতার
ডিআইজি প্রিজন পার্থ গোপালকে বাসা থেকে ঘুষের ৮০ লাখ টাকাসহ  গ্রেফতার
ডিআইজি (প্রিজন) পার্থ গোপাল বণিক ও জব্দ হওয়া টাকা

ডিআইজি প্রিজন পার্থ গোপালকে বাসা থেকে ঘুষের ৮০ লাখ টাকাসহ গ্রেফতার

ডেস্ক রিপোর্ট: সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারের ডিআইজি (প্রিজন) পার্থ গোপাল বণিককে ঘুষের ৮০ লাখ টাকাসহ গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ফ্ল্যাটের বিভিন্ন কক্ষে তোশক, বালিশের কভার এবং আলমিরায় লুকানোবস্থায় এ টাকা পাওয়া গেছে।
রোববার তাকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে অনিয়ম, দুর্নীতি ও অবহেলায় জড়িত থাকার অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এরপর তার রাজধানীর ধানমণ্ডির ভূতেরগলির বাসায় অভিযান চালানো হয়।এ সময় ঘুষের ৮০ লাখ টাকা পাওয়ায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।
রাতে তার বিরুদ্ধে দুদকের ঢাকা জেলা সমন্বিত কার্যালয়ে মামলা হয়েছে বলে জানান দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টচার্য।
তিনি বলেন, ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ অর্থ নিজের হেফাজতে রাখার দায়ে এ মামলা হয়। তাকে সোমবার আদালতে সোপর্দ করা হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে দুদক দাবি করছে, ভূতেরগলিতে থাকা ফ্ল্যাটটির মালিক পার্থ। তার স্ত্রীসহ পরিবারের সদস্যরাও সেখানে বসবাস করেন। তবে পার্থর দাবি, ফ্ল্যাটটি তার শাশুড়ি মঞ্জু সাহার। দুদক টিম পার্থর ব্যবহার করা একটি প্রাইভেটকারও জব্দ করেছে। প্রাইভেটকারটি পার্থর বন্ধু শাহিনের বলে পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
এর আগে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সাবেক ডিআইজি থাকার সময় অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে রোববার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত দুদক প্রধান কার্যালয়ে পার্থ বণিককে জিজ্ঞাসাবাদ করেন কমিশনের পরিচালক মুহাম্মদ ইউছুফ।
জেরার একপর্যায়ে তিনি স্বীকার করেন,রাজধানীর গ্রিনরোড সংলগ্ন তার নিজের ফ্ল্যাটে ৫০ লাখ টাকা রেখেছেন।’ বাসায় এত টাকা কেন রেখেছেন-এমন প্রশ্নে তিনি অনেকক্ষণ চুপ থেকে বলেন, এফডিআর করার জন্য রেখেছি।’ দুদক কর্মকর্তারা জানতে চান- এই টাকার উৎস কী? এ প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি পার্থ বণিক।
তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী দুদকের ওই অনুসন্ধান টিম তাকে নিয়ে রাজধানীর ২৭/২৮/১, নর্থ গ্রীনরোড (ভূতের গলি) তার ফ্ল্যাটে যায়। যাওয়ার পর তার ঘরের আলমিরা, তোশক, ওয়ারড্রপসহ বিভিন্ন কক্ষে তল্লাশি করে লুকানোবস্থায় ৮০ লাখ টাকা পায়। এই টাকা খুঁজে বের করতে কর্মকর্তাদের এক ঘণ্টা সময় ব্যয় করতে হয়েছে।টাকা উদ্ধারের পর তা গুনতে লাগছে আরও এক ঘণ্টা।কিছু টাকা তিনি বালিশের কভারের ভেতরও রেখেছিলেন।
এদিকে রোববার কারাগারের অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে চট্টগ্রামের সাবেক সিনিয়র জেলসুপার প্রশান্ত কুমার বণিককেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুদক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*