এস, এম খুররম আজাদ, সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি: দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে সরিষাবাড়িসহ দেশের সকল উপজেলায় পবিত্র ঈদ উল-আযহা উপলক্ষে বন্যাক্রান্ত ও অন্যান্য দুর্যোগক্রান্ত দুঃস্থ অতিদরিদ্র ও দরিদ্রসীমার নীচে বসবাস করে এমন ব্যক্তি বা পরিবারের জন্য পনের (১৫) কেজি করে ভিজিএফ’র চাল বিতরণের সন্ধিক্ষণে কামরাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুনছুর খাঁন গণমাধ্যমকে বলেন, একশত ভাগ স্বচ্ছতার সাথে হতদরিদ্রদেরকে ভিজিএফ’র চাল দেয়া হচ্ছে। এদিকে গণমাধ্যমের কর্মীরা হতদরিদ্রদের সাথে কথপোকথনের পর একপর্যায়ে জানতে পারেন চাল কম দেয়াসহ আরো অনেক অনিয়মের অভিযোগ উঠে আসে তার বিরুদ্ধে।
জানা যায়, চাল বিতরণের সময় ৬ আগস্ট মঙ্গলবার আনুমানিক পৌনে ১২ টার দিকে চেয়ারম্যান মুনছুর খাঁনের মোবাইলে একটি ফোন আসে। ফোনালাপে তিনি ভিজিএফ’র চাল বিতরণে চাল কম দেয়া হচ্ছে এ বিষয়ের উপর কথা বলছিলেন। তার ফোনালাপের সময়ে গণমাধ্যমকর্মীর কর্ণগোচরে আসা কথাগুলো হচ্ছে, তিনি বলছেন চৌদ্দ কেজির উপরে চাল দেয়া হচ্ছে, তার পরেই উদ্বেগ জনিত তথা উচ্চৈ:স্বরে তিনি বলছেন, কোন শুয়োরের বাচ্চা সাংবাদিক বলেছে আমি চাল কম দিচ্ছি অতঃপর আরো বলেন আমি মুনছুর চেয়ারম্যান আমার ব্যাপারে আপনার ধারণা নেই। এসময় অসহায়ত্তে থাকা একজন গণমাধ্যমকর্মী বলেন, দেশ,সরকার ও জনগণের দেখভাল তথা প্রতিনিধিত্বের সময়ে গণমাধ্যমকর্মীর সম্মুখে অন্য আরেকজন গণমাধ্যমকর্মীকে এমন অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন গুণীমহল।
জানা যায়, ইউপি পরিষদ সংলগ্ন একজন প্রবীণ ব্যক্তি বলেন, এমন রূঢ় আচরণ দারিদ্র বিমোচনের লক্ষ্যকে স্বাধীনতার চেতনায় স্থপতির মতাদর্শে দারিদ্র জয়ের অগ্রযাত্রাকে বিভ্রম তথা চরম বিপর্যয়ে ফেলতে পারে। আরও জানা যায়, এই রকম অথর্ব জ্ঞানহীন মানুষ পরবর্তীতে যেন জনপ্রতিনিধিত্বের আসনে আর যেন না বসতে পারে এবং আগামী ইউপি পরিষদ নির্বাচনে তারুণ্য নেতৃত্বের আশাবাদ ব্যক্ত করেন কামরাবাদ ইউনিয়নবাসী।
জানা গেছে, কামরাবাদ ইউপি পরিষদের জন্য ২০ টন বরাদ্দকৃত চাল ১৩ শ ৩৩ জনের মধ্যে ১৫ (পনের) কেজি করে বিতরণ করার নির্দেশ থাকলেও সেখানে বিতরণ করা হয়েছে ১১ থেকে ১২ কেজি করে। যা কিনা অনিয়ম ও দুর্নীতির শামিল বলে মনে করছেন এলাকার সচেতন মহল। বিতরণের সময় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সূত্রে জানা যায়, অনেক অসহায় দুঃস্থ হতদরিদ্র বৃদ্ধা তথা বিধবা মহিলারা সারাদিন চাল পাওয়ার আশা নিয়ে বসে থাকলেও চাল না পেয়ে ফিরে যেতে হয়েছে বাড়ীতে। এবিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হুমায়ূন কবীরের সাথে ফোনে কথা বলতে চাইলে তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।

কামরাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মুনছুর খাঁন