Saturday , 1 April 2023
আপডেট
Home » জাতীয় » সরিষাবাড়ীর আওনা ও ডোয়াইল ইউনিয়নে ভিজিএফ’র চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ
সরিষাবাড়ীর আওনা ও ডোয়াইল ইউনিয়নে ভিজিএফ’র চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ

সরিষাবাড়ীর আওনা ও ডোয়াইল ইউনিয়নে ভিজিএফ’র চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ

এস, এম খুররম আজাদ, সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধিঃ পবিত্র ঈদ উল-আযহা উপলক্ষে প্রতিবারের মত এবারও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে দেশের সকল উপজেলায় বন্যায়, বন্যাক্রান্ত ও অন্যান্য দুর্যোগাক্রান্ত দুঃস্থ অতিদরিদ্র ব্যক্তি বা পরিবারের জন্য ১৫ (পনের) কেজি করে ভিজিএফ’র চাল বিতরণ করার নির্দেশ থাকলেও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে আওনা ও ডোয়াইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যানসহ মেম্বারদের বিরুদ্ধে।
জানা গেছে, অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার ভিন্ন পন্থানুসরণ করে স্বচ্ছতার নামে অভিনব দুর্নীতি করেছে দুঃস্থ হতদরিদ্র মানুষগুলোর সাথে। ডোয়াইল ইউনিয়নে চাল বিতরণের সময় দেখা গেছে সংখ্যালঘু হিন্দু সম্প্রদায়ের ১০-১৫ জন বৃদ্ধা মহিলা চাল নিতে এসে উদ্বিগ্ন চিত্তে সোরগোল করছে নিজেদের মধ্যে। এই দেখে মিডিয়ার লোকজন তাদেরকে জিজ্ঞেস করলে, তাদের মধ্য থেকে বিষখাঁ রাণী (৫৫), স্বামী ফলেশ্বর, চায়না রাণী (৫৬), স্বামী বানেশ্বর চন্দ্র র্বমন, স্বপ্না রাণী, স্বামী পরেশ চন্দ্র এবং শাপলা বেগম ও আনোয়ার হোসেন ছাড়াও আরও অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, আমরা ডোয়াইল ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। আমাদের ওয়ার্ড মেম্বার রুবেল মিয়া। সে চাল দিবে বলে আমাদের কাছ থেকে আইডি কার্ডের ফটোকপি নিয়েছে। কিন্তু চাল দিচ্ছেনা। আইডি কার্ডের ফটোকপি ফেরৎ চাচ্ছি সেটাও দিচ্ছেনা। বলছে হারিয়ে গেছে।


এদিকে ইউপি পরিষদে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, রুবেল মেম্বার অনুপস্থিত। একই অবস্থার অনুরূপ দৃশ্যপট আওনা ইউনিয়ন পরিষদেও। আওনা ইউপি পরিষদের চেয়ারম্যান বেল্লাল হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি সচিব বজলুল হকের কাছে জানতে বলেন। অতঃপর তার কাছে আবারও জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমাদের এখানে ২২শ ১০টি কার্ড তন্মধ্যে প্রথমদিন দিয়েছি ৫২৮ জনকে আজ বাকিগুলো দিচ্ছি।কিন্তু খোঁজ নেওয়ার পর দৃশ্যমান হয় তার বিপরীত চিত্র। গুদামে যে পরিমাণে চাল তার চেয়ে বেশী দুঃস্থ হতদরিদ্র মানুষের উপস্থিতি পরিষদের সম্মুখে।
ভিন্ন সূত্রে জানা যায়, রাতের মধ্যেই বিক্রিকৃত কার্ডের চালগুলো চলে গেছে বাইরে। তাই আওনা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের দৌলুতপুর গ্রামের মহারাণী,স্বামী গাজি, শহিদ আলী, পিতা-মৃত আশকর আলী এবং স্থল পশ্চিমপাড়া গ্রামের আজিদা বেগম, স্বামী-মৃত ময়নাল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, আমাদের কাছ থেকে আইডি কার্ড নিয়েছে কিন্তু চাল দিচ্ছেনা। আইডি কার্ড ফেরৎ চাচ্ছি, বলছে সরকারি লোকের কাছে জমা দিয়েছি। ওটা আর ফেরৎ পাওয়া যাবে না।
এদিকে মিডিয়ার লোকজন দেখতে পায় আওনা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের কৃষকলীগের সভাপতি ২৮০টি কার্ড নিয়ে সে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে আছে। তাই ইউপি পরিষদের চেয়ারম্যান তথা মেম্বারগণ ছাড়া অন্য কোন রাজনৈতিক নেতাকর্মীর কাছে শতশত কার্ড থাকতে পারে কিনা এ সম্পর্কে প্রশাসন থেকে নিয়োগকৃত ট্যাক অফিসার সেলিম আহমেদের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এবিষয়ে আমি কিছু বলতে পারবনা। আপনারা চেয়ারম্যান ও সচিবের কাছে যান। এদিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাসহ অন্যান্য কর্মকর্তা প্রত্যেকটি ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে যে স্বচ্ছতা দেখতে পান সেটা দায়িত্বরত প্রতিনিধিদের ক্ষণিকের ভালো দেখানো দৃশ্যায়ন ছাড়া অন্য কিছু নয় বলে মনে করেন এলাকাবাসী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*