Sunday , 2 April 2023
আপডেট
Home » জাতীয় » অনলাইন পদ্ধতিতে ট্রেনের টিকিট সংগ্রহে ক্রেতাদের জনদুর্ভোগ লাঘবে কতটুকু সহায়ক
অনলাইন পদ্ধতিতে ট্রেনের টিকিট সংগ্রহে ক্রেতাদের জনদুর্ভোগ লাঘবে কতটুকু সহায়ক

অনলাইন পদ্ধতিতে ট্রেনের টিকিট সংগ্রহে ক্রেতাদের জনদুর্ভোগ লাঘবে কতটুকু সহায়ক

এস এম খুররম আজাদ, জামালপুর (সরিষাবাড়ি) প্রতিনিধিঃ জামালপুরের সরিষাবাড়িতে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের (স্টেশন মাস্টার) বহুপন্থার অনিয়মের মধ্যে টিকিট কালোবাজারি বিষয়াদির উপরে অভিযোগ উঠেছে। বাংলাদেশ সরকার তথা রেলওয়ের যথাযথ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের জনদুর্ভোগ লাঘবে প্রক্রিয়াকরণ প্রসংশনীয় হলেও অনলাইন ভিত্তিক টিকিট সংগ্রহে উপজেলা পর্যায়ে অভিনব পদ্ধতিতে স্টেশন মাস্টার এবং এলাকার টিকিট কালোবাজারিদের অপসমন্বয়ে জনদুর্ভোগ চরমে বলে জানা গেছে। সচেতন মহলের ধারণার মতাদর্শের আলোকপাতে ট্রেনের অগ্রীম টিকিট ক্রয় করতে আসা ক্রেতাদের কর্তৃক এমন অভিযোগ ও আরো অনেক অনিয়মের তথ্য উপাত্ত উঠিয়ে আনা হয়েছে। অনলাইন পদ্ধতিতে ট্রেনের টিকিট সংগ্রহে ক্রেতাদের কতটুকু জনদুর্ভোগ লাঘবে সহায়ক এনিয়ে নানান প্রশ্ন রেলওয়ের সাধারণ যাত্রীদের।
জানা যায়, ঈদুল আযহা উপলক্ষে ঢাকা থেকে আসা যাত্রীগন ঈদ আনন্দের স্বত:স্ফূর্ততার মধ্যেও দুশ্চিন্তায় থাকে পরবর্তীতে কিভাবে তার কর্মস্থল ঢাকা বা এদেশের অন্যান্য গন্তব্যে যাওয়া যাবে।
জানা গেছে, গত ৫/৮/১৯ ইং তারিখে ফিরে যাওয়ার অগ্রীম টিকিট অনলাইন ভিত্তিক ছাড়া হয়েছে। অনলাইন পদ্ধতি মতে যে তারিখের টিকিট প্রয়োজন, তার দশদিন পূর্বে দেয়া হয়। জানা যায় রেলসেবা ওয়েব সাইটে বিকাশ একাউন্ট থেকে আবেদনের মধ্যে দিয়ে অনলাইনে যে ভাবে টিকিট সংগ্রহ করা হয়, সাধারণ যাত্রীরা এবিষয়ে অজ্ঞ। তারা টিকিট ক্রয়ের পূর্বেই উৎপেতে থাকা কালোবাজারিদের ও স্টেশন মাস্টারের বৈরী তৎপরতার যোগসাজসে বিকাশ কোড কর্তৃক প্রায় সম্পূর্ণ টিকিট বের করে রাখা হয়, আর অল্প কিছু টিকিট রাখা হয় নেতৃত্বস্থানীয়দের ও ভিআইপিদের জন্য, যাতে উনারা বুঝতে পারেন, স্বচ্ছতার সাথে টিকিট দেওয়া হচ্ছে এবিষয়ে কোন প্রকার অনিয়ম নেই। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে জানা যায়, একজন হতাশগ্রস্ত টিকিট ক্রেতা চরমভাবে জনদুর্ভোগে থাকার সন্ধিক্ষণে মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা তাঁর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনলাইন পদ্ধতি মতে টিকিট ক্রয় এটাতো আমার এবং সবার অধিকার। যে সময়ে কাউন্টার থেকে টিকিট দিবে তার আগে হতেই স্টেশন মাষ্টার সাউন্ড দিচ্ছে, টিকিট শেষ হয়েগেছে। আমি সকাল, সন্ধা, এখানেইতো আছি, কই আমার চোখে এখন পর্যন্ততো দেখলামনা, কেউ টিকিট কাউন্টার থেকে টিকিট সংগ্রহ করছে ! অতঃপর তিনি (হাফিজুর রহমান বলার দিয়ার) আরও বলেন, আমার মা বাবা অত্যন্ত অসুস্থ থাকায় এমন মরিয়া হয়ে টিকিট সংগ্রহের প্রয়োজনে স্টেশন মাস্টারের কক্ষে গিয়ে অনুরোধের সময়ে দেখলাম, স্টেশনের প্লাটফর্মের একজন ভ্যারাইটিজ তথা পান সিগারেটের দোকানদারকে আলমারি থেকে টিকেট বের করে দিচ্ছে ! অথচ আমি কয়েক দিন ধরে তাদের পিছনে ঘুরছি আমাকে একটি টিকিটও দেয়া হচ্ছেনা।
এবিষয়ে দায়িত্বে থাকা স্টেশন মাস্টারকে অবগত করার অতঃপর জানতে চাইলে তিনি বলেন, যখন উনার সম্মুখে অন্যকে টিকিট দেয়া হলো, তখন ঐ লোকটাও তো তার জন্য টিকিট সংগ্রহ করতে পারতো এখানেতো এতো ঘুরাফেরার কিছু দেখছিনা। এমতাবস্থায় সংবাদকর্মী কর্তৃক স্টেশন মাস্টারের সাথে প্রত্যক্ষভাবে আলাপচারিতার সময়ে একজন নেতৃত্বস্থানীয় বলেন, যারা টিকিক সংগ্রহ করে বিক্রি করছেন, আমি মনে করি এটাও একটি সেবা ৪-৫ শত টাকা বেশি দিয়ে টিকিট ক্রয় এটা কোন বিষয় না। এলাকায় নেতৃত্বে থাকা লোকের এইরকম অযৌক্তিক কথপোকথন ও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের এমন অনিয়ম কর্তৃক জনদুর্ভোগের অবসান তথা লাঘবে জামালপুর-৪ আসনের তথ্য প্রতিমন্ত্রীসহ বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপের আশাবাদ ব্যক্ত করেন সরিষাবাড়ি বাসী তথা গুণীমহল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*