এস,এম খুররম আজাদ, জামালপুর (সরিষাবাড়ী) প্রতিনিধি ঃ জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে পৌরসভার ২নং ওয়ার্ডের সামর্থবাড়ী গ্রামের মুহাম্মদ রইচ উদ্দিনের ছেলে সোহেল রানা কর্তৃক অভিযোগ উঠেছে, বাড়ীর পরশী তয়েজ উদ্দিনের ছেলে মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে। জানা যায়, মিজানুর রহমান তার নিজ বসত ভিটায় অপরিকল্পিত ব্যবস্থাপনায় লেয়ার মুরগীর ফার্ম করবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা শুনে বর্জ্যের গন্ধে দুর্ভোগের সৃষ্টির কথা ভেবে প্রতিবেশি সোহেল (তারই থাকার ঘর সংলগ্ন নির্মিত হয়েছে ফার্মটি) তাকে জিজ্ঞেস করলে, মিজানুর বলেন আমি এখানে ডেইরি ফার্ম করব। তার পর ফার্মের জন্য ঘর সম্পূর্ণভাবে তৈরি করার পর ডেইরি ফার্ম না করে, লেয়ার মুরগী তুলে ঐ ফার্মে। এটা দেখতে পেয়ে সোহেল বলেন, এখানেতো ডেইরি ফার্ম করার কথা ছিলো, তাহলে লেয়ার মুরগীর ফার্মের প্রক্রিয়াধীন তথা মুরগী তোলা হচ্ছে কেন? তখন মিজানুর রহমান বলেন এই মুরগীগুলো এখানকার জন্য আনা হয়নি, আনা হয়েছে অন্য আরেকটা ফার্মের জন্য, যথাসময়ে অন্য আরেকটি ফার্মে প্রেরণ করবে বলে জানান তিনি। তার পরেও যখন দীর্ঘ সময় ধরে লেয়ার মুরগীর বাণিজ্যিক কার্যক্রম চালিয়ে যেতে থাকে তন্মধ্যে এবিষেয়ে অনেকবার আপত্তি করা সত্তে¡ও কোন প্রকার তোয়াক্কা করেনি মিজানুর রহমান। মিজানুরের এমন বৈরীতা তথা বিভ্রমী আলোচনায় সোহেল রানা বুঝতে সক্ষম হোন যে, মিজানুর আসোলেই বৈরী তৎপরতায় থাকা একটা বাজে লোক। জানা যায়, পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা ছাড়াই আইনি প্রজ্ঞাকে অবমাননা করে আসছে অনেক বছর ধরে। পুকুরে জমে থাকা বর্জ্যের গন্ধে বা আবহাওয়া দূষিত থাকার কারণে প্রাই লেগে থাকে রুগবীমার ঐ এলাকা জুুুড়ে। এবিষয়ে সাধারণ মানুষ যদি কোন প্রকার আপত্তি করে, ফার্ম মালিক মিজানুর রহমান তার গোষ্ঠীগত তথা পেশীশক্ত ও রাজনৈতিক রোষানলে ফেলবে বলে হুমকি দেয় এবং লাঠিসোটা দিয়ে মারতে আসে। এমন বিব্রতকর পরিস্থিতির কারণে বাড়িঘর অন্যস্থানে সরিয়ে নেয়ার মনস্থির পোষণ করছেন অনেকেই বলে জানা গছে। এমতাবস্থায় ভোক্তভোগীসহ ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সোহেল রানা এইরকম জনদুর্ভোগ লাঘবের আশাবাদে উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা মুহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান তার বরাবর একটি লিখিত আবেদন করেন। লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মুহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান খামারটি সরজমিন পরিদর্শন করেন। এবং তার বাস্তবতার উপর ভিত্তি করে আবাসিক এলাকায় মুরগীর খামার স্থাপন করেছেন তা সম্পূর্ণভাবে অবৈধ বা বিধি মতে তা আইন বহির্ভভূত আখ্যা দিয়ে মিজানুর রহমানকে একটি নোটিশ প্রেরণ করেন।
নোটিশে বলা হয়েছে আপনার খামারের বায়োসিকিউরিটি তথা ময়লা নিষ্কাশন ব্যবস্থা নেই এবং লিটার ব্যবস্থাপনা খুবই নাজুক। আরো বলা হয়েছে এটি জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি স্বরূপ এবং পোল্ট্রি নীতিমালা ২০০৮ ও পোল্ট্রি আইন ২০০৫ এর বিরুদ্ধাচরণ হচ্ছে। তাই উক্ত নোটিশে দাপ্তরিক স্মারক নং ৩৩.০১.৮৫০০.০০০.১৬.০০.৩০/০৫/২০১৯ ইং তারিখে বলা হয়েছে। ১মাসের মধ্যে খামারটি বন্ধ কিম্বা স্থানান্তর করার জন্য (নোটিশ কর্তৃৃক) নির্দেশ দেয়া হলেও মিজানুর রহমান অত্যন্ত দাম্ভিকতার সহিত প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তাকেও অবজ্ঞার অতঃপর তার ফার্মের বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে। উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মুহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, রেজিঃ বা নিবন্ধন ছাড়া যত খামার রয়েছে এবং যেসব খামার পোল্ট্রি নীতিমালার বহির্ভূত, সেসব খামার মালিককে আইনি প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে অবৈধ খামারগুলোকে বন্ধ করে দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
