মৃত্যুর পর এরশাদের প্রতি মানুষের ভালোবাসা অনুভব করেছি: জিএম কাদের

ডেস্ক রিপোর্ট: জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের এমপি বলেছেন, এরশাদের মৃত্যুর পর তার প্রতি মানুষের ভালোবাসা অনুভব করেছি। উনি জননন্দিত নেতা হিসেবে মূল্যায়িত হয়েছেন। আমরা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতেই রাজনীতি করছি। পল্লীবন্ধু দেশ ও মানুষের কল্যাণে অসংখ্য কাজ করেছেন। তিনি অনেক স্বপ্নই পূরণ করতে পারেননি, আমরা পল্লীবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবে পরিণত করব। আমরা পল্লীবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সমাপ্ত করব।
বৃহস্পতিবার বাদ আসর যমুনা ফিউচার পার্ক কনভেনশন সেন্টারে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের রূহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া মাহফিলে এ সব কথা বলেন জিএম কাদের।
ঢাকা জেলা জাতীয় পার্টি ও জাতীয় মহিলা পার্টি এ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন যুগান্তরের প্রকাশক, সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং জাতীয় মাহিলা পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি।
জিএম কাদের বলেন, জীবিত এরশাদের চেয়ে মৃত এরশাদ অনেক বেশি শক্তিশালী। পল্লীবন্ধুর জানাজায় মানুষের ঢলই প্রমাণ করে তিনি কত বেশি জনপ্রিয় ছিলেন। অসীম জনপ্রিয়তা নিয়েই হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দুনিয়া ছেড়ে চলে গেছেন।
জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা বেগম রওশন এরশাদ এমপি বলেন, বঙ্গবন্ধু দেশের উন্নয়ন শুরু করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পরে, দেশের উন্নয়নের এই ধারা এগিয়ে নিয়েছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
তিনি বলেন, এরশাদ তার সব স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে পারেননি। আমরা সবাই মিলে পল্লীবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করব। তিনি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের রূহের মাগফিরাত কামনায় দেশবাসীর দোয়া কামনা করেন।
রওশন এরশাদ বলেন, হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ আমাদের মাঝে আছেন। আমরা তার অনুভবে এগিয়ে যেতে অনুপ্রেরণা পাই। বক্তব্যের শেষে সালমা ইসলাম এমপিকে ধন্যবাদ জানান রওশন এরশাদ।
সাবেক প্রেসিডেন্ট এরশাদের স্মৃতিচারণ করে সভাপতির বক্তব্যে সালমা ইসলাম এমপি বলেন, তিনি (এরশাদ) আমাকে রাজনীতিতে এনেছেন। আমি যতদিন বাঁচব ততদিন যেন তার কথা স্মরণ করতে পারি। দোয়া করি, আল্লাহ যে উনার কবরের আজাব মাফ করে দেন। এ সময় তিনি আবেগাপ্লুত হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও যুগান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলম বলেন, মৃত্যুর পরে মানুষের মূল্যায়ন থাকে। দুটি কারণে এরশাদকে স্মরণ করছি- উপজেলা প্রশাসন ও বিচার বিভাগ পৃথকীকরণ।
দোয়া ও আলোচনা সভায় আরও বক্তৃতা করেন প্রেসিডিয়াম সদস্য লেফটেনেন্ট জেনারেল (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী এমপি।
এতে উপস্থিত ছিলেন হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ছেলে রাহগির আল মাহি সাদ এরশাদ, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ সিরাজুল ইসলাম, নুরে হাসনা লিলি চৌধুরী, এমএ মান্নান, এসএম ফয়সাল চিশতী, শফিকুল ইসলাম সেন্টু, নাজমা আকতার এমপি, পার্টির ভাইস-চেয়ারম্যান শেরিফা কাদের, নুরুল ইসলাম নুরু, আহসান আদেলুর রহমান এমপি।
এ ছাড়া জাতীয় পার্টি ও অঙ্গ সংগঠনের অসংখ্য নেতাকর্মী মিলাদ এবং আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন ঢাকা জেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক বাহাদুর ইসলাম ইমতিয়াজ।
পরে পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের রূহের মাগফিরাত কামনায় মিলাদ ও মোনাজাত করা হয়। মিলাদ মাহফিল পরিচালনা করেন গাউসুল আজম মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা মিজানুর রহমান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *