জনগণ সরকারের অপসারণ চায়: মির্জা আব্বাস

ডেস্ক রিপোর্ট: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, ক্যাসিনো অভিযানকে স্বাগত জানাই। কিন্তু যারা রাঘোববোয়াল রয়েছেন তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না। এ জন্য দেশের মানুষ সরকারকে ভালো চোখে দেখছে না। মানুষ এই সরকারের অপসারণ চায়।
বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এ সব কথা বলেন। খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ও আবরার ফাহাদ হত্যার প্রতিবাদে সভার আয়োজন করেন ছাত্রদলের সাবেক নেতারা।
মির্জা আব্বাস বলেন, বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদকে যারা মারল তারাও শিক্ষিত। কিন্তু তারা কেন মেরেছে, সেটাও বলেছে। বড় ভাইরা বলেছে এ জন্য তারা ধরে এনেছে, মেরেছে। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া একদিন বলেছিলেন, এ সরকার জাতিকে মেধাশূন্য করতে চাচ্ছে। আবরার হত্যার মাধ্যমে সে কথা আজ পুরোপুরি সত্য পরিণত হল।
ক্ষোভ প্রকাশ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, আবরারের একমাত্র ছোট ভাইকেও সরকার নিরাপত্তা দিতে পারেনি। নিরাপত্তা শঙ্কায় ঢাকা ছেড়ে গ্রামে চলে গেছে। তিনি আবরার হত্যাকারীদের বিচার এবং তার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবি জানান।
ভোলার ঘটনা উল্লেখ করে মির্জা আব্বাস বলেন, স্বাধীনতা আজ কোথায় গেল? কেউ স্বাধীনভাবে কথা পর্যন্ত বলতে পারছে না। ভোলায় নিরীহ মানুষকে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করা হল। কিন্তু একজন সাংবাদিক এ নিয়ে কথা বলায় তাকে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে গ্রেফতার করা হল।
ভারতকে ফেনী নদীর পানি দেয়ায় সরকারের সমালোচনা করে মির্জা আব্বাস বলেন, দেশটা আজ প্রায় শেষ। শুধু পানি নয়, এ সরকার মেগা প্রজেক্টের নামে মেগা লুটপাট করছে।
বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুর সভাপতিত্বে ও সহ-প্রচার সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলিমের পরিচালনায় সমাবেশে সাবেক ছাত্র নেতাদের মধ্যে বক্তব্য দেন আমানউল্লাহ আমান, আবুল খায়ের ভুঁইয়া, ড. আসাদুজ্জামান রিপন, ফজলুল হক মিলন, খায়রুল কবির খোকন, নাজিমউদ্দিন আলম, শহীদউদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, কামরুজ্জামান রতন, আজিজুল বারী হেলাল, শফিউল বারী বাবু, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, আবদুল কাদির ভুঁইয়া জুয়েল, আকরামুল হাসান প্রমুখ।
সভায় সাবেক ছাত্র নেতাদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন শিরিন সুলতানা, রেহানা আখতার রানু, শাম্মী আখতার, হেলেন জেরিন খান, আবদুল আউয়াল খান, শহিদুল ইসলাম বাবুল, সেলিমুজ্জামান সেলিম, দুলাল হোসেন, হায়দার আলী লেলিন, আমিরুজ্জামান খান শিমুল প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *