ডেস্ক রিপোর্ট: অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত। আদেশে আগামী ৭ নভেম্বর পর্যন্ত তাকে গ্রেফতার বা হয়রানি না করার নির্দেশও দিয়েছেন হাইকোর্ট। দেশে এসে ৭ নভেম্বরের মধ্যে তাকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছে। বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার এই আদেশ দেন।
আদালতে ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ। আদালত থেকে বের হওয়ার পর ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ আদালতের আদেশের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। এর আগে হাইকোর্টের আরেকটি বেঞ্চ ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত ড. ইউনূসকে গ্রেফতার না করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন।
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মালিকানাধীন ‘গ্রামীণ কমিউনিকেশন্স’র চাকরিচ্যুত কর্মচারীরা তার বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা করেন। ওই মামলায় শুনানি শেষে গত ৯ অক্টোবর ঢাকার শ্রম আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ কমিউনিকেশন্সে কিছু শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন করতে চাইলে তাতে বাধা দিয়ে তাদের চাকরিচ্যুত করা হয়। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত তিন শ্রমিক ড. ইউনূসসহ প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজনীন সুলতানা ও উপ-মহাব্যবস্থাপক খন্দকার আবু আবেদীনকে আসামি করে মামলা করেন।
মামলায় আসামিদের উপস্থিতির দিন ধার্য ছিল গত ৯ অক্টোবর। মামলায় অপর দুই আসামি নাজনীন সুলতানা ও খন্দকার আবু আবেদীন উপস্থিত থাকলেও বিদেশে অবস্থান করায় ড. ইউনূস উপস্থিত ছিলেন না। এ কারণে ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতের চেয়ারম্যান রহিবুল ইসলাম তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
