তরঙ্গনীতির আলোকে গবেষণা প্রতিবেদন সরিষাবাড়িতে মানহীন মিষ্টি ব্যবসায়ীরা ভোক্তাদেরকে মিষ্টান্ন সামগ্রী ওজনে কম দেয়

এস,এম, খুররম আজাদ, জামালপুর (সরিষাবাড়ি) প্রতিনিধিঃ পরম অস্তিত্ব থেকে মহাজাগতিক সৃষ্টির অতঃপর পৃথিবী ও প্রকৃতির সমন্বয়ের মধ্য দিয়ে বহুকাল ধরে ক্রমান্বয়ে এখন পর্যন্ত প্রাকৃতিক ভারসাম্যের অবক্ষয়ের পাশাপাশি রাসায়নিক প্রকৃয়াজাতকরণে খাদ্যাভ্যাস মানবদেহের অবক্ষয় করে আসলেও প্রাকৃতিক এর বিপরীত কৃত্রিম উপায়ে খাদ্যের ঘাটতি পূরণে সহায়কের বিষয়টি বাধ্যবাধকতায় থাকা মানবজাতি মেনে নিলেও মনগড়াভাবে মানুষ কর্তৃক সৃষ্ট খাদ্যাভ্যাসে ভেজাল মিশ্রিত প্রকৃয়াকরণ তা সমীচীন নয় বলে জানিয়েছেন গুণী মহল। জামালপুরের সরিষাবাড়িতে ঐতিহ্যবাহী মিষ্টান্ন ভান্ডারের বহু সাধু মিষ্টান্ন ব্যবসায়িদের অসাধুত্ব মিষ্টান্ন তৈরিতে ভেজাল এবং বৈরী কৌশলে ওজনে কম দেয়ার হেতু এমন তথ্য উপাত্তের সৃষ্টি করেছে। আরামনগর ও শিমলা বাজার এবং উপজেলাটির প্রান্তিক পর্যায়ে অধিকাংশ মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী রসের গোল্লা, মন্ডা, আমিত্তি, পেরা চমচম তৈরিতে ছানার মধ্যে অতিরিক্ত লাভের আশায় মাত্রাতিরিক্ত ময়দা মিশিয়ে মিষ্টি তথা অন্যান্য সামগ্রীর গুণগত মানের হ্রাস সমেত বহু স্বনামধন্য ব্যবসায়ী তাদের ঐতিহ্য বিকিয়ে দিচ্ছে ও একজন গ্রাহককে ভোক্তা অধিকার থেকে বঞ্চিত করার অতঃপর দুর্ভোগে ফেলছে।
জানা গেছে, একজন গ্রাহক যখন তার প্রয়োজনে কোন মিষ্টান্ন দোকান থেকে মিষ্টি বা অন্যান্য মিষ্টি সামগ্রী ক্রয় করে তখন মিষ্টি দোকানি মিষ্টি ওজন করে এবং তা বহন করে নেয়ার জন্য কোন ব্যাগ বা থলি অথবা বাক্সে তুলে দিবে তারপর ক্রেতা তা নিয়ে যাবে। অথচ দেখা যাচ্ছে যখন কোন ক্রেতা মিষ্টি ক্রয় করছে তখন দোকানি প্রথমে ওয়েট মেশিনে তুলে দিচ্ছে বাক্সটি তার পর সেই বাক্সটিসহ মিষ্টি ওজন করছে। এতে প্রতি দুই কেজিতে মিষ্টি বা অন্যান্য মিষ্টান্নতে ওজনে প্রায় আড়াই শত থেকে তিনশত গ্রাম কম দেয়ার বিষয়টিও তথ্য উপাত্তে উঠে এসেছে।
জানা যায়, একটি মিষ্টির বাক্সের ওজন প্রায় দুইশত থেকে আড়াই শত গ্রাম। একটি মিষ্টির ওজন ষাট গ্রাম হলে প্রতি বাক্সের ওজনের সমান চার থেকে পাঁচটি মিষ্টি হয় তার অর্থ দাঁড়ায় একটি বাক্সের সমান পাঁচটি মিষ্টি। প্রতিটি মিষ্টির ওজন ষাট গ্রাম হলে প্রতি দুই কেজিতে চার-পাঁচটি মিষ্টি কম দেয়া হচ্ছে। সেই মতে হিসাব কষে সনাক্ত করা যায় যে প্রতি দুই কেজিতে আড়াই শত থেক তিনশত গ্রাম মিষ্টি কম দেয়া হচ্ছে। এবিষয়ে একজন ভোক্তভোগী ক্রেতা মুহাম্মদ মুকুল সরকারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আসলে আমরা ক্রেতা আমার কথাগুলো এখানে কোন প্রকার সম্মান যদিও পাবেনা তবুুও সাধারণ ভোক্তা হিসেবে বলতেছি ইহা সম্পূর্ণ অবৈধ ও আইন বহির্ভূত এ বিষয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের হস্তক্ষেপ ও উপজেলা জনপ্রশাসনের দেখভাল শ্রেয় বলে আমি মনে করছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *