ডেস্ক রিপোর্ট: গ্রেফতার হওয়া রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘প্রতারকরা সবসময় কোনো না কোনো ফাঁকফোকর বের করে নেয়। সেজন্য আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীও সব সময় সজাগ থাকে। আমরা কিন্তু কাউকে ছাড় দিচ্ছি না। যেদিনই প্রতারকরা প্রকাশিত হচ্ছে, তখনই আমরা তাকে ধরছি। প্রতারকরা কেউ বাদ যাবে না, এই জায়গায় আমরা শক্ত অবস্থানে আছি।’ বুধবার (১৫ জুলাই) মন্ত্রীর ধানমন্ডির বাসভবনে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে একথা বলেন তিনি। সাহেদ করিম গ্রেফতার হওয়া উপলক্ষে এই ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সন্ত্রাস, মাদক ও জঙ্গি দমন করে যাচ্ছেন। কোভিড-১৯ এর সময়ও তারা নির্ভয়ে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। এটি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি অনন্য কাজ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘সাহেদ সব সময় ফাঁকফোকর খুঁজেছে- কীভাবে সে বেরিয়ে যাবে, কীভাবে প্রতারণা করবে। তিনি বিভিন্ন জায়গায় প্রতারণা করেছেন। কিন্তু এবার সব কিছু উদঘাটন করে আইনের কাছে বা বিচারকের কাছে আমরা হস্তান্তর করব। সে যাতে আর কোনো ধরনের প্রতারণা করতে না পারে, সে যেন আর কোনো সুযোগ না পায় সেটা আমরা দেখব।’
সাংবাদিকরা জানতে চান, ‘সাহেদ বিভিন্ন দলে ছিল। এখন সরকারি দলে এসে বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম ও প্রতারণা করছে। সে ক্ষেত্রে দলের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করবে কিনা- যাতে এসব লোক যাচাই-বাছাই ছাড়া কমিটিতে আসতে না পারে?’
এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সে অনেক কিছুই করেছে। অনেক ফাঁকফোকরের সুযোগ নিয়েছে। এজন্য দলের হোক কিংবা যেকোনো ব্যক্তি হোক আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কাউকে ছাড় দিচ্ছেন না। আমরা আমাদের জায়গা থেকে স্পষ্ট করে বলে দিচ্ছি, আমাদের দলের হোক কিংবা আমাদের জনপ্রতিনিধি হোক কিংবা সরকারি কর্মকর্তা হোক, কেউ কিন্তু বাদ যাচ্ছেন না। কাজেই এটা আমাদের দলের সিদ্ধান্ত। আমরা স্পষ্ট করে বলে দিয়েছি দলে প্রবেশ করানোর আগে আরও ভালো করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য। দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সবসময় এটি বলে আসছেন। তিনি এ ব্যাপারে অনেক যাচাই-বাছাই করে দল চালাচ্ছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে। আমরা মনে করি এই ফাঁকফোকর দিয়ে যারাই দু-একজন বের হচ্ছে তাদের চিহ্নিত করে আমরা দল থেকে ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
