কামাল হোসেন মণ্ডল, মদন (নেত্রকোনা) প্রতিনিধিঃ নেত্রকোণা জেলার মদন পৌরসভা জাহাঙ্গীরপুর বৈশ্যপাড়া রঞ্জিত এর বাসার ভাড়াটিয়া গোপাল দেবনাথের মেয়ে পান্না দেবনাথ গলায় ওড়না পেছিঁয়ে আত্মহত্যা করে। এ ঘটনার মদন থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে। গতকাল শনিবার (১৮ জুলাই) রাতে পান্না দেবনাথ (২০) নামে এক গৃহবধু ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেন। সংবাদ শুনে মদন থানার পুলিশ গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে।
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার সকালে পলাশ দেবনাথের মা ও চাচী পান্নাকে স্বামীর বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য মদন আসেন। সন্ধ্যার দিকে পান্নাকে বাসায় রেখে তার মা শাশুরী ও চাচী শাশুড়িকে নিয়ে মদন বাজারে আত্মীয়র বাসায় বেড়াতে যায়। খালি বাসায় পান্না রুমের দরজা বন্ধ করে জানালার গ্রিলের সাথে ওড়না পেছিঁয়ে আত্মহত্যা করেন।
কিছুক্ষণ পরে মালিকের মেয়ে দিতি ডাকাডাকি করে কোন সারাশব্দ না পেয়ে দরজা দাক্কা দিয়ে খুলে দেখতে পায় গৃহবধূ জানালার গ্রিলের সাথে ওড়না পেছিঁয়ে ঝুলে রয়েছে। তার ডাক-চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে আসে।
পান্না দেবনাথ ময়মনসিংহ তারাকান্দা উপজেলায় মালিডাঙ্গা গ্রামের পলাশ দেবনাথের স্ত্রী ও নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলা গোপাল দেবনাথের মেয়ে। পান্নার পিতা গোপাল দেবনাথ মদন পৌরসভায় পানের ব্যবসা করেন। পরিবার নিয়ে বৈশ্যপাড়া রঞ্জিতের বাসায় ভাড়া থাকে। পান্নার স্বামী ব্যবসার কাজে ময়মনসিংহ থাকেন।
মদন থানায় খবর দিলে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খালিয়াজুরী সার্কেল) জামাল উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পরির্দশন শেষে লাশ ময়না তদন্ত করার জন্য নেত্রকোনায় আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন।
