ডেস্ক রিপোর্ট: জাতীয় পার্টির মহাসচিব পরিবর্তন নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনও সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন দলটির নবনিযুক্ত মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু। তিনি বলেন, ‘দলের কাউন্সিলে পার্টির চেয়ারম্যানকে সর্বোচ্চ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। তিনি যাকে খুশি প্রমোশন দিতে পারেন, আবার যাকে প্রয়োজন বাদ দিতে পারেন। এটি নিয়ে প্রশ্ন তোলার কোনও সুযোগ নেই।’
মঙ্গলবার (২৮ জুলাই) দুপুরে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে জাপার চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের আমির ও কওমি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের সহসভাপতি মাওলানা আতাউল্লাহ ইবনে হাফেজ্জীসহ অন্য নেতারা।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ জুলাই জাতীয় পার্টির মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গাকে সরিয়ে তার স্থলে জিয়াউদ্দিন বাবলুকে নিয়োগ দেন দলটির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের।
জাপার মহাসচিব পরিবর্তনের কারণ জিজ্ঞেস করার কোনও সুযোগ নেই বলে উল্লেখ করে বাবলু বলেন, ‘পার্টির চেয়ারম্যান প্রয়োজন মনে করছেন বলেই মহাসচিবকে পরিবর্তন করেছেন।’
জাপার গঠনতন্ত্রের ২০ নম্বর ধারাটি অগণতান্ত্রিক কিনা জানতে চাইলে বাবলু আরও বলেন, ‘আমাদের ৭২ এর যে সংবিধান, সেখানেও রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ব্যক্তিকে বিশেষ ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে।’
জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের এবং চিফ প্যাট্রন রওশন এরশাদের নেতৃত্বে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আমরা সবাই কাজ করে যাবো বলে মন্তব্য করে বাবলু বলেন, ‘আমরা ইতিবাচক রাজনীতি করছি। এই ধারা অব্যাহত থাকবে— সংগঠনকে শক্তিশালী ও বিস্তৃত করা। আগামী সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবো। ভোট বিপ্লবের জন্য প্রস্তুত হবো।’
কওমি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে বাবলু বলেন, ‘তারা বলেছেন চামড়ার ন্যায্য দাম পান না। সে বিষয়ে আমরাও একমত। প্রত্যেকবার দাম নির্ধারণ করা হয়, এবারও দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু কোনও কারণে তা বাস্তবায়ন হয় না। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি, চামড়ার দাম নিশ্চিত করার জন্য।’
বন্যা ও করোনায় মানুষ দুর্ভোগে আছে বলে দাবি করে জাপা মহাসচিব বলেন, ‘উপজেলা কাঠামো করেছিলেন এরশাদ। সেই কাঠামো এখনও রয়েছে বলে সরকার মোকাবিলা করতে পারছে। স্বাস্থ্য খাতের অবস্থা বুঝতে পারছেন— যখন জীবন বাঁচানো ফরজ, তখন নকল সার্টিফিকেট বিক্রি হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী স্বাস্থ্যের ডিজিকে সরিয়ে দিয়েছেন। আমরা চাই, সবার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হোক। যাতে ভবিষ্যতে আর কেউ এমন অপকর্ম করার সাহস না পান।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ও অতিরিক্ত মহাসচিব অ্যাড. রেজাউল ইসলাম ভূইয়া, প্রেসিডিয়াম সদস্য আলমগীর সিকদার লোটন, ভাইস-চেয়ারম্যান আদেলুর রহমান ও মোস্তাকুর রহমান মোস্তাক প্রমুখ।
