এটাই যেন হয় শেষ বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড: সিনহার মা

ডেস্ক রিপোর্ট : কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের গুলিতে নিহত অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মেজর সিনহা মো. রাশেদের মা নাসিমা আক্তার বলেছেন, এটাই যেন হয় শেষ বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা। আজ সোমবার রাজধানীর উত্তরায় নিজ বাসায় এক প্রেস বিফ্রিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
মেজর সিনহার মা বলেন, ‘আমি চাই এটাই যেন হয় বিচারবহির্ভূত হত্যার শেষ ঘটনা। আর কোনো মায়ের বুক যেন খালি না হয়। এ বিষয়ে সবাই যেন সচেতন হয়।’
এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘সিনহা পরবর্তী প্রজন্মের কথা ভাবতো। দেশের জন্য কাজ করাই ছিল তার লক্ষ্য। এজন্য তার কাজের প্রতি আমার সমর্থন ছিল।’
ব্রিফিংয়ে সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এ ঘটনায় বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা আশা করছি, দ্রুততার সঙ্গে বিচারকাজ সম্পন্ন হবে।’
তিনি আরও বলেন, “সিনহাকে বলেছি দেশের জন্য কাজ করে মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিতে। মৃত্যুর পর তার প্রতি মানুষের সে ভালোবাসা দেখেছি। সে ছিল ‘প্রিন্স অব পিপলস হার্ট’।”
অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তাদের সংগঠন রিটায়ার্ড আর্মড ফোর্সেস অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন-রাওয়ার চেয়ারম্যান মেজর (অব.) খন্দকার নূরুল আফসারও ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, সিনহাকে ঠান্ডা মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় কক্সবাজার পুলিশ সুপার (এসপি) এবিএম মাসুদ হোসেনকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন রাওয়া চেয়ারম্যান।
গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ বাহারছড়া চেকপোস্টে তল্লাশির সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান।
ওই সময় ডকুমেন্টারি তৈরির কাজে রাশেদের সঙ্গে থাকা স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া বিভাগের দুই শিক্ষার্থী শিপ্রা ও সিফাতকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এরপর ৫ আগস্ট নিহত রাশেদের বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পরিদর্শক লিয়াকত, ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ নয়জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পরদিন বরখাস্ত ওসি প্রদীপসহ সাত আসামি কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। মামলা তদন্তের দায়িত্বে থাকা র‌্যাবের আবেদনে তাদের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। একই সঙ্গে পলাতক দুই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *