ডেস্ক রিপোর্ট: করোনাভাইরাস মহামারি ও আসন্ন ঘূর্ণিঝড়জনিত ঝুঁকি মোকাবিলার প্রস্তুতি নিতে দেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উন। মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) দলের পলিটব্যুরো বৈঠকে এ নির্দেশ দেন তিনি। কিমের শারীরিক অবস্থা নিয়ে যখন নানা গুঞ্জন চলছে, তখনই পলিটব্যুরো বৈঠকে হাজির হলেন এ উত্তর কোরীয় নেতা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
সম্প্রতি দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দারা দাবি করেন, উত্তর কোরিয়ার সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী কিম জং-উন নিজের ওপর চাপ কমাতে তার বোন ও অন্যদের ওপর বেশ কিছু নীতিনির্ধারণী দায়িত্ব দিয়েছেন। এর কয়েকদিনের মাথায় কিমের গুরুতর শারীরিক পরিস্থিতির গুঞ্জন শোনা যায়। দক্ষিণ কোরিয়ার একজন কূটনীতিক আশঙ্কা জানান, উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন কোমায় আছেন। তার বোন কিম ইয়ো জং দেশ পরিচালনায় সহায়তা করতে প্রস্তুত রয়েছেন।
উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমকে উদ্ধৃত করে বিবিসি জানায়, মঙ্গলবার পলিটব্যুরো বৈঠকে হাজির হওয়া কিমকে সিগারেট টানতে দেখা গেছে। তিনি মনে করেন, ‘মারাত্মক এ ভাইরাসটি’ ঠেকাতে রাষ্ট্রীয় প্রচেষ্টায় খানিক ঘাটতি আছে। তবে রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে এ ব্যাপারে বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়নি।
অনেকদিন ধরেই পিয়ংইয়ং দাবি করে আসছিলো দেশে করোনা সংক্রমণ নেই। তবে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা বরাবরই এ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে আসছিলেন। একজন সন্দেহভাজন আক্রান্তের হদিস মেলার পর দক্ষিণ কোরিয়ার সীমান্তবর্তী একটি শহরে শুধু লকডাউন জারি করা হয়েছিল। এরমধ্যেই উত্তর কোরিয়ার দিকে ধেয়ে যাচ্ছে টাইফুন বাভি। এ সপ্তাহের শেষের দিকে আঘাত হানতে পারে এটি। আর তার প্রস্তুতি নিয়ে কথা বলতে বৈঠকে হাজির হন তিনি।
অবশ্য কিম জং উনের অসুস্থতা কিংবা মৃত্যুর গুজব ছড়ানোর বিষয়টি নতুন নয়। এর আগে গত এপ্রিল মাসে দীর্ঘদিন ধরে তাকে জনসম্মুখে না দেখা যাওয়ার পর মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়ে। অবশেষে একটি সার কারখানা উদ্বোধনের সময় প্রকাশ্যে আসেন তিনি।
