ডেস্ক রিপোর্ট: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে আজ সোমবার বাংলাদেশে এসেছেন ভারতের নব নিযুক্ত হাই কমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী। সেখানে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ ভারতের সবচেয়ে নিকটতম বন্ধুরাষ্ট্র। বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো বাড়াতে কাজ করব। বিক্রম দোরাইস্বামী সাবেক হাই কমিশনার রীভা গাঙ্গুলি দাশের স্থলাভিষিক্ত হলেন।
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি ফাইট বন্ধ থাকায় নতুন হাই কমিশনার ভারতের আভ্যন্তরীণ ফাইটে শনিবার ত্রিপুরা রাজ্যের রাজধানী আগরতলা পৌঁছান। সেখান থেকে সড়ক পথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। এরপর সড়ক পথে ঢাকা পৌঁছেন তিনি। আখাউড়া চেকপোস্টে তাকে স্বাগত জানান, আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নূর এ আলম, সহকারী কমিশনার ভূমি মো. মেজবাহ উল আলম ভূইয়া, সহকারী পুলিশ সুপার (কসবা সার্কেল) মিজানুর রহমান প্রমুখ। এছাড়া সেখানে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মিশনে ভারতের সহকারী হাই কমিশনার অনিন্দ ব্যানার্জী ও দ্বিতীয় সচিব সুভাশীষ সিনহা।
সস্ত্রীক বাংলাদেশে আসা নতুন হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী আরো বলেন, আমার সৌভাগ্য এমন একটি দায়িত্ব নিয়ে বাংলাদেশে এসেছি। দুই দেশের অত্যন্ত উন্নত সম্পর্ক আরো দৃঢ় করার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে কাজ করতে চাই। তিনি বলেন, আমি বাংলা কিছুটা বুঝতে পারি। তবে বলতে পারি না। শিখতে চাই। সামনের দিনে আপনাদের সঙ্গে বাংলায় কথা বলার ইচ্ছা আছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে আরো কিভাবে অংশীদারিত্ব বাড়ানো যায় সেটি নিয়ে আমি কাজ করব। বিশেষ করে ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলো দুই দেশের মৈত্রী বন্ধনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। উত্তর-পূর্বের সাথে বাংলাদেশের নৌ, সড়ক ও বাণিজ্য প্রসার গুরুত্ব পাবে।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের চাহিদার ভিত্তিতে ভারত থেকে পেঁয়াজ রপ্তানির বিষয়টির একটি সমাধান খোঁজা হবে। শিগগিরই এর একটি সমাধানও পাওয়ার আশা রাখি। চিকিৎসাসহ অন্যান্য জরুরি ভিসার প্রক্রিয়া দ্রুততার সঙ্গেই করা হবে। ভ্রমণ ভিসার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও এদেশের মানুষ আমাদের বন্ধু। যোগাযোগ বৃদ্ধির জন্য ভিসা ব্যবস্থা চালু করা আবশ্যক। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে ভিসা ব্যবস্থা এখনই চালু করা যায় কিনা তাও ভেবে দেখা হবে।
জানা গেছে, আগামী ৮ অক্টোবর ব রাষ্ট্রপতির কাছে নিজের পরিচয়পত্র পেশ করার কথা রয়েছে নতুন হাই কমিশনারের। বাংলাদেশের হাইকমিশনার হওয়ার আগে বিক্রম দোরাইস্বামী ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া তিনি দণি কোরিয়ায় ভারতের রাষ্ট্রদূত হিসেবে ইতিপূর্বে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ভারতের পররাষ্ট্র ক্যাডারের ১৯৯২ ব্যাচের কর্মকর্তা।
