আজকের প্রভাত প্রতিবেদক: ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় চেইন আউটলেট রেস্তোরা করতে চান কফি এক্সপ্রেস ও ইক্সপ্রেস ক্যাফের চেয়ারম্যান ও ফাউন্ডার ইভান শ্যামুয়েল। সম্প্রতি গণমাধ্যমে এই ইচ্ছার কথা জানান তরুণ এই উদ্যোক্তা। ইভান শ্যামুয়েল বলেন, আমার বিজনেস লাইফ ২০০৭ সাল থেকে শুরু। অনেক বাধা বিপত্তি পেরিয়ে জীবন সংগ্রাম পার হয়ে আজ এখানে। সাপ্লাই চেইন বিজনেস থেকে ধীরে ধীরে একসময় আমার নতুন কিছু প্লান নিয়ে কফি ইন্ডাস্ট্রিতে আসা। এক এক করে বিগত আট বছর ধরে সকল ধাপ পেরিয়ে কফি ইন্ডাস্ট্রিতে ও রেস্টুরেন্ট নিয়ে আলোচনা – পর্যালোচনা করি। এরপর গত দুই বছর হয়েছে আমরা আমাদের চেইন রেস্টুরেন্ট এর প্রথম ধাপ শুরু করেছি। আমাদের দুই ধরনের রেস্টুরেন্ট আছে । যেমন কফি এক্সপ্রেস আমাদের সিগনেচার ব্রান্ড আর এক্সপ্রেস ক্যাফে আমার বাজেট কনস্পেট। ব্যবসায় পরিকল্পনা নিয়ে তিনি বলেন, আমাদের কফি এক্সপ্রেসের সিগনেচার ৩০টি আউটলেট আর এক্সপ্রেস ক্যাফের ১৫০টি আউটলেট সারা বাংলাদেশে স্থাপন করার একটি মহা পরিকল্পনা রয়েছে । আমার এই দুইটি রেস্টুরেন্টের মাধ্যমে বাংলাদেশে বিশ্বমানের উন্নত খাবার সরবরাহ করতে চাই । করোনার বর্তমান পরিস্থিতি যদি ঠিক হয়ে যায় তাহলে আমরা এই বছর শেষে দুবাই ও সুইডেনে দুইটি আউটলেট খোলার পরিকল্পনা করছি ।
সারাদেশে তারা ফ্রাঞ্চাইজি দিচ্ছেন জানিয়ে ইভান শ্যামুয়েল বলেন, আমরা আমাদের রেস্টুন্টে গুলোর ফ্রাঞ্চাইজিও সারা বাংলাদেশে দিচ্ছি । আমরা শুধু বিজনেস করছি না বরং একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে সি, এস,আর ও করছি আউটলেট গুলো বাড়ানোর মাধ্যমে । বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে আমরা যে দায়িত্বটি পালন করছি সেটা হচ্ছে বেকারত্ব দূর করা । আমাদের প্রতিটি রেস্টুরেন্ট এ চার জন করে কর্মী ও একজন ফ্রাঞ্চাইজি মালিক থাকছেন যাদের মধ্যে কর্মসংস্থানের সাথে সাথে আয়ের উৎস করে দিচ্ছি আমাদের এই ছোট্ট প্রয়াস । এই প্রজেক্ট এর মাধমেই আমরা ১২০০ মানুষের কর্ম সংস্থান ও আয়ের পথ পাবো। তার সাথে সাথে আমরা তাদের পরিবারের দায়িত্ব নিতে সক্ষম হবো । ভবিষ্যতে আমরা আরো দুটি ফুড প্রজেক্ট নিয়ে কাজ করার পরিকল্পনা করছি। ব্যবসায় সততা ও পণ্যের মান ধরে রেখে বাংলাদেশকে পৃথিবীর বুকে উপস্থাপন করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন এই তরুণ উদ্যোক্তা।