ডেস্ক রিপোর্ট: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় অটিজম সম্পর্কিত শুভেচ্ছা দূত সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুল বলেছেন, অটিজম আক্রান্তরা সমাজের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাদের সফল, ক্ষমতায়িত ও কর্মক্ষম ব্যক্তিতে পরিণত করতে আমাদের সমন্বিত এবং সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, অটিজম আক্রান্তদের সমাজে জায়গা করে দিতে হবে, যাতে তারা তাদের অবদান রাখতে পারে। তা না হলে সমাজে বড় ধরনের বিভেদ তৈরি হবে। অটিজম আক্রান্ত ব্যক্তিদের কর্মক্ষম করে তুলতে সমন্বিত কর্মসূচি নিয়ে এগিয়ে আসার জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পুতুল। নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে বৃহস্পতিবার বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবসের এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নবিষয়ক সংস্থা ইকোসক চেম্বারে অটিজম আক্রান্ত নারী এবং মেয়েদের ক্ষমতায়ন বিষয়ে এক আলোচনাসভায় ‘অ্যাবলিজম, সেক্সিজম, রেসিজম …হাউ দে ইন্টারসেক্ট’ শীর্ষক এ আলোচনা হয়।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে অটিজম বিশেষজ্ঞ পুতুল বলেন, অটিজম আক্রান্ত নারী ও মেয়েরা নানা সীমাবদ্ধতার কারণে নিজেদের একান্ত চাওয়া-পাওয়ার কথাও ঠিকমতো বোঝাতে পারেন না। বিয়েসহ স্বাভাবিক জীবনযাপনের জন্য তারা যেন তৈরি হতে পারে, সে জন্য তাদের ব্যবহারিক শিক্ষা ও জ্ঞানার্জনের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।
‘পাশাপাশি তারা যাতে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করে নিজেদের অন্তর্নিহিত শক্তি ও সম্ভাবনার প্রকাশ ঘটাতে পারে সে ব্যাপারেও সবাইকে দৃষ্টি দিতে হবে।’
বাংলাদেশ সরকার অটিজম আক্রান্ত ব্যক্তি বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে বহুমাত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় পরামর্শক কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে নীতি প্রণয়ন ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে বলে সভায় জানান পুতুল।
জাতিসংঘের এনজিও সম্পর্কবিষয়ক অফিসের প্রধান জেফ্রি ব্রিজের সঞ্চালনায় অটিজম উইমেন নেটওয়ার্কের চেয়ারপারসন মরেনিকি গিওয়া ওনাইয়ু, অটিজম কনসালট্যান্ট অ্যামি গ্রাভিনো ছাড়াও শতাধিক দেশের স্থায়ী প্রতিনিধি, অটিজম নিয়ে কর্মরত সংগঠক, সুশীল সমাজ এবং যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন।