আজকের প্রভাত প্রতিবেদক : তৃতীয় বারের মত ‘বিপিও সামিট বাংলাদেশ ২০১৮’ আগামী ১৫ ও ১৬ এপ্রিল শুরু হচ্ছে। রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলএ অনুষ্ঠিত হবে দুই দিনের বিপিও খাতে সবচেয়ে বড় এ আয়োজন। এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন করবেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। মঙ্গলবার রাজধানীর জনতা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের সেমিনার হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ সব তথ্য জানান বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কলসেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিংয়ের (বাক্য) সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোস্তাফা জব্বার বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়নের দিক সামনে রেখে আরও একটি মাইলফলক অর্জন করতে যাচ্ছে বিপিও সামিটএই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন করবেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়।২০১৫ এবং ২০১৬ সালের সফল আয়োজনের ধারাবাহিকতায় আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছানোর পাশাপাশি আরও বৃহৎ উদ্দেশ্য এবং সমাধান দেওয়ার লক্ষ্যেই বিপিও সামিট ২০১৮ আয়োজন।
তিনি আরও বলেন, বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং (বিপিও) খাতে তরুণদের কাজে লাগাতে হবে।মেয়েদের বেশি বেশি অংশগ্রহণ করাতে হবে। কারণ পাশ্ববর্তী দেশ ভারত ও ভিয়েতনাম এই আউটসোসিং কাজে ভালো করছে কারণ সবচেয়ে বেশি মেয়ে কাজ করে এই খাতে। আর আমাদের দেশে কিন্তু অনেক কম। যত বেশি এই খাতে মেয়ে আসবে এই বিপিও খাতে তত বেশি সফলতা পাবে।
বাক্য‘র সভাপতি ওয়াহিদ শরীফ বলেন, দুই দিনের আয়োজনে দেশি-বিদেশি তথ্যপ্রযুক্তিবিদ, সরকারের নীতিনির্ধারক, গবেষক, শিক্ষার্থী এবং বিপিও খাতের সঙ্গে জড়িতরা অংশ নেবেন। থাকছে ৪০ জন স্থানীয় স্পীকার, ২০ জন আন্তর্জাতিক স্পীকারের বক্তব্য। এছাড়াও এবারের বিপিও সামিটে ১০টি সেমিনার ও কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে। দুই দিনের মূল্য আয়োজনের আগে ৩০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাক্টিবেশন কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে জানান তিনি।
এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনটি আয়োজন করছে সরকারের আইসিটি অধিদফতর এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কলসেন্টার অ্যান্ড আউটসোর্সিং (বাক্য) জানিয়েছেন বাক্য‘র সাধারণ সম্পাদক তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেন, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আর এজন্যে আমাদেরকে নতুন নতুন প্রযুক্তি গ্রহণ করতে হবে। তরুণদের মধ্যে প্রযুক্তির ভালো দিকগুলো তুলে ধরতে হবে। যাতে তার এক্ষেত্রে এগিয়ে যায়।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের (অতিরিক্ত সচিব) মহাপরিচালক এ কে এম খায়রুল আলমসহ আয়োজকবৃন্দ।