ডেস্ক রিপোর্ট: আনিসুল হকের জানাজায় অংশগ্রহণ করতে আর্মি স্টেডিয়ামে ভিড় নামে। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের পাশাপাশি বিএনপির নেতাকর্মীরাও আনিসুল হকের জানাজায় অংশ নিতে বনানীর আর্মি স্টেডিয়ামে আসেন। এর আগে সদ্যপ্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাতে শনিবার দুপুরে তার বনানীর বাড়িতে উপস্থিত হন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু সাংবাদিকদের বলেন, “নির্দলীয় অবস্থান থেকে স্থানীয় সরকার যে চালানো যায়, উন্নয়ন করা যায়, সেটা তিনি রেখে গেছেন।”
ব্যবসায়ী আনিসুল হক দুই বছর আগে আকস্মিকভাবেই রাজনীতিতে পা রেখে আওয়ামী লীগের হয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে প্রার্থী হন। ওই নির্বাচনে তার প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বিএনপির তাবিথ আউয়াল।
ভোটে অনিয়মের অভিযোগ তুলে ভোটগ্রহণের মাঝপথে বর্জনের ঘোষণা দিয়েছিলেন তাবিথ। পরে আনিসুল হক মেয়র পদে নির্বাচিত হন।
দুই বছর দায়িত্ব পালনের পর গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আনিসুল হক। লন্ডন থেকে শনিবার দুপুরে দেশে আসে আনিসুল হকের মরদেহ। মরদেহ বিমানবন্দর থেকে বাড়িতে নেওয়ার পর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা সেখানে যান। তখন বিএনপির প্রতিনিধি দলটিকেও সেখানে দেখা যায়।
আমীর খসরু বলেন, “আনিসুল হক শুধু ব্যবসায়িক জীবনে নয়, সব কাজ পরিচালনায় তিনি নতুন দিগন্ত উন্মুক্ত করে গেছেন। “সততা, যোগ্যতা, নিষ্ঠা ও সাহসী ভূমিকার মাধ্যমে যে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান চালানো যায়, সেই স্বাক্ষর তিনি রেখে গেছেন।”