ডেস্ক রিপোর্ট: ‘আমরা একে অপরের সঙ্গে অন্ন ভাগ করে খেতে জানি, একের বিপদে অন্যজন এগিয়ে আসতে পারি, একের ধর্মীয় উৎসবে আমরা সবাই মিলে অংশগ্রহণ করতে জানি, এটাই আমাদের চিরায়ত ঐতিহ্য ও মূল্যবোধ।’
পোপ ফ্রান্সিসের বাংলাদেশে আগমন উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ধর্মীয় সম্প্রীতির দেশ। ঐতিহ্যগতভাবে এখানে সবধর্মের মানুষ সমমর্যাদা ও সহাবস্থানের মধ্যে বসবাস করে আসছেন। আমাদের ভ্রাতৃত্ববোধ, মানবিক মূল্যবোধ, ইতিহাস-ঐতিহ্য ও পারস্পরিক সহাবস্থান আমাদের বড় সম্পদ।’
খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিসের সফরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও ভ্যাটিকানের মধ্যে সম্পর্ক আরো জোরদার ও ঘনিষ্ঠ হবে বলে আশা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘সরকার ও স্থানীয় ক্যাথলিকমণ্ডলীর আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশ সফর করার কর্মসূচি গ্রহণ করায় আমি পোপের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তার এ সফরের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও ভ্যাটিকানের মধ্যকার সম্পর্ক আরো জোরদার ও ঘনিষ্ঠ হবে বলে আমার বিশ্বাস।’
বাণীতে তিনি বলেন, বাংলাদেশে খ্রিস্টান জনগণ আর্থসামাজিক উন্নয়নে বিশেষ অবদান রেখে চলেছেন। ১৯৭১ সালে খিস্টান সম্প্রদায়ের বহু মানুষ মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। যুদ্ধ চলাকালে বহু অসহায় এবং গৃহহারা মানুষ তাদের গীর্জা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
মুক্তিযুদ্ধে নিহত শহীদদের স্মরণ করে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে সহযোগিতার জন্য বেশ কয়েকজন ধর্মযাজককে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী হত্যা করে। যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে এই সম্প্রদায়ের নাগরিকদের আন্তরিক প্রচেষ্টা ও উদ্যোগ মাতৃভূমির প্রতি তাদের অপরিসীম ভালোবাসারই বহিঃপ্রকাশ।
উল্লেখ্য, পোপ ফ্রান্সিস ৩০ নভেম্বর থেকে ২ ডিসেম্বর পর্যন্ত তিনদিনের রাষ্ট্রীয় ও পালকীয় সফরে বাংলাদেশে আসছেন।