বাংলাদেশ শিক্ষক-কর্মচারী সমন্বয় পরিষদের মহাসচিব শেখ আব্দুস সালাম পহেলা নভেম্বর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেন ইউনেস্কো পাথর যুগ হতে শুরু করে বিংশ শতাব্দীর এক মহাসংকটে আবর্তিত অধিকারবিহিন বঞ্চিত নির্যাতিত বাঙ্গালি জাতির মুক্তিদাতা বিশ্বের বঞ্চিত নির্যাতিত মানুষের অদ্বিতীয় কন্ঠস্বরের উচ্চারিত ৭ মার্চের রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধুর প্রদত্ত বঙ্গবন্ধুর ভাষনটিকে অনন্য দলিল হিসেবে মেমোরি অব দ্যা ওয়ার্ল্ড স্বীকৃতি দিয়েছে। এ প্রাপ্য স্বীকৃতি দেয়া জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কর্মের প্রতি সামান্য দায় লাঘবের একটা প্রয়াস বলে মনে করেন সমন্বয় পরিষদের সহাসচিব। ৭ মার্চের বঙ্গবন্ধুর ভাষণের দৃঢ়তা; দু:খী মানুষের দু:খে জীবন উৎসর্গের এমন বলিষ্ঠ কাব্যিক-দার্শনিক গণতন্ত্রের নেতা এবং স্বাধীনতা প্রেমিকের নজির ইতিহাসে বিরল। নেতৃত্বের গুণাবলীসমেত দাবী আদায়ে মানুষকে জাগানোর এবং অধিকার সচেতন করার দীর্ঘ সংগ্রামের পর ৮ মিনিটের সহজ সরল বিদ্রোহের ভাষনটি বিস্ময়কর অলৌকিক শক্তির মতো মোহিনী সুরে বাঙ্গালীকে এক সূতোয় গেঁথেছিলো। এ ভাষন লক্ষ লক্ষ মানুষের উপস্থিতিতে নিপীড়িত মানুষের মনের দু:খ দূর করে নিরস্ত্র নিরীহ বাঙ্গালীকে সংগ্রামী করে তুলেছিলো। তাছাড়া এ ভাষণ যুগে যুগে স্বাধীনতাকামী নির্যাতিত নিপীড়িত মানুষের অধিকার আদায়ের সনদ হিসেবে চিরকালই উজ্জ্বল হয়ে থাকবে বিশ্ববাসীর কাছে। এ গৌরবের স্বীকৃতিতে বাঙ্গালী জাতি আজ আনন্দিত।