মোঃ জাহিদ, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ উলিপুরে তিস্তা নদীর ভাংগন রোধে সরকারের দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনের দাবী জানিয়ে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত। কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের গোড়াইপিয়ার মাদ্রাসা মাঠে তিস্তা নদীভাঙ্গন থেকে, থেতরাই, হোকডাঙ্গা, গোড়াই পিয়ার,দলদলিয়া ও উলিপুর বাঁচাও গনকমিটির আয়োজনে সোমবার (১৬ই এপ্রিল) বিকেল ৫ টায় প্রধান অতিথি হিসেবে উলিপুর উপজেলা শাখা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক এমএ মতিন এর উপস্থিতে থেতরাই, হোকডাঙ্গা ও দলদলিয়ার বন্যা ও তিস্তা নদীর ভাংগন রোধে সরকারের দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনের দাবী জানিয়ে আলোচ নাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এসময় বক্তারা – বুড়িতিস্তার উৎসমুখে সুইচগেট নির্মান,তিস্তা নদীর ভাংগন রোধে দ্রুত বাধ নির্মান, চরাঞ্চলের জনগনের জন্য সাইক্লোন সেন্টার নির্মান, যাতায়াতের জন্য থেতরাই থেকে পাওটানা পর্যন্ত ব্রিজ নির্মান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য আশ্রয়ন প্রকল্প স্থাপন করার দাবী জানায়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- তিস্তা নদীভাঙ্গন থেকে, থেতরাই, হোকডাঙ্গা, গোড়াই পিয়ার, দলদলিয়া ও উলিপুর বাঁচাও গনকমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি পঞ্চায়েত বাদশা আলমগীর, সহ সভাপতি এ্যাডভোকেট মোঃ কামরুজ্জামান মুন্সি রানা, এন,এন,এম আনিছুর রহমান, মোঃ মোদাসসিরুল ইসলাম রাজু, সভাপতি মন্ডলীর সদস্য ও থেতরাই ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সভাপতি মোঃ আব্দুল জলিল শেখ, উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য মোঃ ফিরোজ আলম, মোঃ রফিকুল ইসলাম,প্রচার সম্পাদক মোঃ মোকছেদুল মমিন, থেতরাই ইউ’পি চেয়ারম্যান মোঃ আইয়ুব আলী সরকার, দলদলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আতিয়ার রহমান মুন্সী, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমান সহ নদীভাঙ্গনের শিকার ভিটামাটি হারিয়ে নিঃস্ব হওয়া পরিবার ও সর্বস্তরের মানুষ।
উল্লেখ্য যে, গত বছরের বন্যায় প্রায় দুই শতাধিক ঘরবাড়ী নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়।সর্বনাশা তিস্তা ভাঙ্গনে ভিটেমাটি নদীগর্ভে চলে যাওয়ায় ভিটেমাটির সাথে নিজেকে নদীগর্ভের বাসিন্দা বানাতে মোমেনা বেওয়া নামে এক মহিলা নদীতে লাফ দিয়েছিল। ভিটামাটি হারিয়ে নিঃস্ব পরিবারগুলো এখন মানবেতর জীবনযাপন কাটাচ্ছে।