ডেস্ক রিপোর্ট : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অধ্যাপক ড. কাবেরী গায়েনকে হত্যার হুমকি দিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে জামায়াতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ (জেএমবি)। তবে চিঠিতে কোনো কারণ উল্লেখ করা হয়নি। সোমবার সকালে বিভাগের মেইল বক্স খুললে এ চিঠি পাওয়া যায়। হুমকিতে থাকা ঢাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. কাবেরী গায়েন মঙ্গলবার বিভাগের নবনিযুক্ত চেয়ারপার্সন হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন।
‘জেএমবি (অপারেশন) ঢাকা জোন’ থেকে পাঠানো এ চিঠিতে ইংরেজিতে লেখা ছিল, ‘সাবধান ড. কাবেরী গায়েন, পোস্তগোলা সমাধিতে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হোন। আমরা আগ্রহভরে আপনার জন্য অপেক্ষা করছি (অ্যাটেনশন: ড. কাবেরী গায়েন, গেট রেডি ফর পোস্তগোলা ফানেরাল, উই আর ইগারলি ওয়েটিং ফর ইউ)।’
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সোমবার সকালে ঢাবির গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের মেইলবক্সে জেএমবির হুমকি সম্বলিত এ চিঠি পাওয়া যায়। তবে চিঠিটা এখানে কবে রাখা হয়েছে বা কারা এ চিঠি পাছিয়েছে তা এখন পর্যন্ত জানা যায় নি। এতে কোন ধরণের সিল বা ঠিকানাও লিখা ছিলো না। পুলিশ বলছে বিষয়টি তদন্তের দাবিদার।
এদিকে, এ ঘটনায় নিজের নিরাপত্তা চেয়ে মঙ্গলবার বিকেলে শাহবাগ থানায় একটি সাধারন ডায়েরী (জিডি) করেছেন ঢাবির এ অধ্যাপক। জিডি নম্বর ২৭৩।
এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. কাবেরী গায়েন জানান, সোমবার মেইলবক্স থেকে সব চিঠি বের করে আনা হয়। তখন অন্য গুরুত্বপূর্ণ সব চিঠির সাথে এ চিঠিটাও পাই। তিনি বলেন, এর আগেও আমাকে হত্যার হুমকি দিয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছিলো। কারা, কেন এসব চিঠি পাঠাচ্ছে আমি তা জানি না। আগে বাইরে থেকে চিঠি আসছে, এখন একদম বিভাগের মেইল বক্সে! তবে এসব চিঠিতে আমি ভীত নই। আমি চাই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিষয়টি ভালোভাবে তদন্ত করে দেখুক।
এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান বলেন, মঙ্গলবার থানায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কাবেরী গায়েনের নিরাপত্তা চেয়ে একটা জিডি করা হয়েছে। তদন্তের পর বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে। আমরা বিষয়টি দেখছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রাব্বানী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এ বিষয়ে অবহিত করে তার (কাবেরী গায়েন) নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৫ সালে দেশের ১০ বিশিষ্ট নাগরিককে হত্যার হুমকি দিয়ে চিঠি পাঠানো হয়। সেখানে তাদের নামের পাশেই সংক্ষেপে তাঁদের হত্যা করতে চাওয়ার কারণ উল্লেখ করা হয়। সেই সময়ে হুমকিপ্রাপ্তদের মধ্যে অধ্যাপক কাবেরী গায়েন অন্যতম।