ট্রাম্পের এশিয়া সফরের আগে
আজকের প্রভাত ডেস্ক: কোরীয় উপদ্বীপের আকাশে জাপানকে সঙ্গে নিয়ে দুটি বোমারু বিমান বি-১বি উড়িয়ে শক্তি প্রদর্শন করেছে মার্কিন সেনাবাহিনী। গতকাল বৃহস্পতিবার মার্কিন সেনাবাহিনীর দুটি বি-১বি বোমারু বিমান গুয়াম ঘাঁটি থেকে উড়াল দেয়। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপানও।
ট্রাম্পের এশিয়া সফরের ঠিক আগ মুহূর্তে বি-১বি বোম্বার দুটি কোরীয় উপদ্বীপের আকাশে দেখা গেলো। সুপারসনিক বিমানগুলো পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র ও বোমা বহনে সক্ষম। মার্কিন বিমান বাহিনীর বরাত দিয়ে শুক্রবার এমন খবর প্রকাশ করেছে রয়টার্স, সিএনএন।
হোয়াইট হাউজ ঘোষণা করেছে নভেম্বরের তিন থেকে চৌদ্দ তারিখ পর্যন্ত ডোনাল্ড ট্রাম্প এশিয়া সফরে আসবেন। এই ম্যারাথন সফরে ট্রাম্প ভ্রমণ করবেন এশিয়ার পাঁচ দেশ। ট্রাম্পের সফরের তালিকায় থাকা দেশগুলো হচ্ছে- জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, চায়না, ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন এবং হাওয়াই। প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর গত এক বছরে এটিই হবে তার প্রথম এশিয়া সফর।
উল্লেখ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বোয়িং করপোরেশনের তৈরি পারমাণবিক ওয়ারহেড সমৃদ্ধ স্ট্র্যাটিজিক সুপার বোম্বার বি-১ বি ল্যান্সারকে কৌশলগত পারমাণবিক আক্রমণের জন্য বিশেষভাবে ডিজাইন করা হয়েছে যা ইউএস এয়ার ফোর্স ১৯৮৫ সাল থেকে ব্যবহার করে আসছে, যার ডাক নাম ‘দ্যা বোন’। সুপারসনিক গতি সমৃদ্ধ বি-১ বি ল্যান্সারে চারটি অত্যন্ত শক্তিশালী এডভ্যান্স জেনারেল ইলেক্ট্রিক এফ-১০১-জিই-১০২ আফটার টার্বোফ্যান ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়, যা মূলত বোম্বারটিকে সমুদ্রপৃষ্ট থেকে ৯১৪৪ মিটার উচ্চতায় সর্বোচ্চ ১.২ ম্যাক গতিতে ১৫০০০ কিলোমিটার দূরুত্ব পর্যন্ত নিউক্লিয়ার কমব্যাট মিশন পরিচালনা করার সক্ষমতা প্রদান করেছে। বি-১ বি ল্যান্সারের সর্বোচ্চ জ্বালানি ধারণ ক্ষমতা ১২০৩২৬ কেজি এবং এর ভেতরে ৩৪০১৯ কেজি এবং বাহিরে সর্বোচ্চ ২২৬৭৯ কেজিসহ মোট ৫৬.৭০ টন পর্যন্ত পারমাণবিক ওয়ারহেড ও ব্যালেস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র বহন করতে সক্ষম। বি-১ বি ল্যান্সার সাধারণত ৪ জন ক্রু দ্বারা পরিচালিত হয়। যার মধ্যে একজন কমান্ডার, একজন কো পাইলট এবং দুইজন ওয়েপন্স সিস্টেম অফিসার রয়েছে। এ পর্যন্ত ৬৬টি সুপার সনিক বি-১ বি স্ট্র্যাটিজিক সুপার বোম্বারের ৬৬টি ইউনিট তৈরি করা হয়েছে বলে জানা যায়।