নিজস্ব প্রতিবেদক: ক্ষমতায় টিকে থাকতে সরকার গুম-খুনের মাধ্যমে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রোববার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে বিএনপি আয়োজিত মানববন্ধনে এমন অভিযোগ করেন তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, গুম-খানের মাধ্যমে সরকার সারাদেশকে কারাগারে পরিণত করেছে। গুম-খুন এখন সরকারের হাতিয়ার। ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতেই সরকার গুম-খুনের পথ বেছে নিয়েছে। তিনি বলেন, অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারী সরকার ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে গণতন্ত্র ধ্বংস করে গুম-খুনের পথ বেছে নিয়েছে। সরকার ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে যে গণতন্ত্র ও মানবাধিকারকে গুম করছে তারই শিকার আজ দেশের কোমলমতি শিশু ও তাদের পরিবার।
তিনি বলেন, মানবাধিকার বলতে দেশে কিছুই নেই। আজ ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলম, সুমনের সন্তানেরা গুমরে কাঁদছে। দরজায় দাঁড়িয়ে বাবার অপেক্ষায় থাকছে। আশায় আছে, তাদের বাবা ফিরে আসবে!
ফখরুল বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে গেলেই গুম করা হচ্ছে, খুন করা হচ্ছে, মিথ্যা মামলা দিয়ে জেলে আটকে রাখা হচ্ছে। রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে সরকার আজ জনগণের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে।
এসময় শুধু বিএনপির ওপর চালানো সরকারি নির্যাতনের পরিসংখ্যান তোলে ধরে তিনি বলেন, শুধু বিএনপির বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে ৭৮ হাজার, ৩ শ ২৩টি। আসামি ৭ লাখ ৮৬ হাজা ২৩৮ জন, খুন ৫৪৭ জন। এখনো অনেকে নিখোজ আছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ক’দিন আগেই একজন রাষ্ট্রদূত গুম হয়ে গেছে। সাংবাদিক উৎফল এখনো ফিরে আসেনি। এভাবে গুম খুনে অসহায় দেশ। আজ বিচার বিভাগ সরকারের কবজায়। প্রধান বিচারপতিকে দেশ ত্যাগে বাধ্য করেছে।
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. মঈন খান বলেন, বাংলাদেশ সরকার আজ যা গুম করেছে তা হলো মানবাধিকার। শেখ হাসিনার অবৈধ শাসন থামাতে না পারলে দেশে মানবাধিকার আসবে না।
বিএনপির আরেকব জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, সরকার জনপ্রিয়তা হারিয়ে এখন গুম, খুন এবং মিথ্যারের মাধ্যমে দেশ পরিচালনা করছে। কিন্তু তারা টিকবে না। এই মিথ্যাচারের পতন হবে।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, মানবাধিকার দিবসে আজ মানুষের হৃদয় কাঁদছে। চৌধুরী আলম, ইলিয়াস আলী, সুমনের সন্তানেরা ধুকে ধুকে কাঁদছে। কি বলবে সরকার? নিজেদের দুর্নীতি ঢাকার জন্য সরকার অন্যের ওপর চড়াও হচ্ছে। কিন্তু সরকারের দুর্দিন আসছে।