নিজস্ব প্রতিবেদক:বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বাংলাদেশের রাজনীতির এ মুহূর্তের ‘খলনায়িকা’ হিসেবে অভিহিত করে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, এই ‘খলনায়িকা’কে (খালেদা জিয়া) হারিয়ে ক্ষমতার বাইরে রাখতে হবে। মঙ্গলবার সচিবালয়ে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন। প্রতিনিধি দলে নেতৃত্ব দেন জোটের সভাপতি ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম।
ইনু বলেন, ‘তথ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব আছে, সংবিধানের মূল চার নীতি এবং অন্যান্য অনুচ্ছেদের যে নির্দেশনা রয়েছে তার ভিত্তিতে আমাদের ভূমিকা গ্রহণ করতে হবে। তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে সম্প্রচারের বিশাল জগতটা জড়িয়ে আছে, সেহেতু সেখানে চার নীতিকে রক্ষা করে কীভাবে সম্প্রচার হচ্ছে তা দেখার দায়িত্ব আমাদের।’
বিএনপি সংবিধানের মূল চার নীতি মানে না উল্লেখ করে জাসদ সভাপতি ইনু বলেন, ‘বিএনপি ও খালেদা জিয়া যতক্ষণ পর্যন্ত ঘোষণা দিয়ে এই চারটি বিষয় না মানছেন ততক্ষণ পর্যন্ত তারা বাংলাদেশ, রাষ্ট্র, ইতিহাস-ঐতিহ্য, সংস্কৃতির মহা শত্রু। আমি মনে করি সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। যারা এসব মানে না তাদের বাংলাদেশের রাজনীতিতে থাকার কোনো অধিকার নাই, তাদেরকে চিরদিনের জন্য ক্ষমতার বাইরে রাখতে হবে। এ চ্যালেঞ্জ বাস্তবায়নের জন্য ২০১৮ সাল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আশা করব সাংস্কৃতিকর্মীরা সেই জায়গায় কাজ করবেন।’
ইনু বলেন, ‘খলনায়ক-খলনায়কেরা সিনেমায় জেতে না, তারা পরাজিত হয়। বাংলাদেশের রাজনীতির এই মুহূর্তের খলনায়িকা হচ্ছে সাম্প্রদায়িক, জঙ্গিনেত্রী খালেদা জিয়া। সুতরাং খলনায়িকাকে হারাতে হবে এবং তাকে ক্ষমতার বাইরে রাখতে হবে।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ যেন কখনও আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের রক্তাক্ত পথে পরিচালিত না হয়। এই জায়গায় আমরা একসঙ্গে কাজ করতে পারি। বাংলাদেশ যেন আর হোঁচট না খায়।’ ‘বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় মুক্তিযুদ্ধের পথেই উত্তরোত্তর এগিয়ে যাবে এর একটা গ্যারান্টি দরকার। সেই গ্যারান্টি অর্জন করতে হলে জঙ্গি দমনের যে যুদ্ধে শেখ হাসিনা নেতৃত্ব দিচ্ছেন, আর রাজাকার সরকার নয় সেটা নিশ্চিত করতে সেই যুদ্ধে আপনাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ দরকার।’- বলেন ইনু।
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ জঙ্গিমুক্ত হবে কিন্তু বাংলাদেশকে যদি মানবিক করতে হয় তাহলে সাংস্কৃতিক কর্মীরা করবেন। বাংলাদেশ যদি অসাম্প্রদায়িক না হয়, কেবলমাত্র গণতান্ত্রিক হয় তাহলে বাংলাদেশ আবার হোঁচট খাবে। সুতরাং আমরা একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ চাই, অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশও চাই, যেখানে রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক কর্মী হাত ধরাধরি করে কাজ করবে।’