নিজস্ব প্রতিবেদক: সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘খালেদা জিয়াকে সাজা দেওয়া সরকারের বিষয় নয়। তার সাজা হবে কিনা সেই সিদ্ধান্ত নেবেন আদালত। তার সাজা হলে উচ্চ আদালতের হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট আছে। তারপর আবার রিভিউও রয়েছে।’ মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) জাতীয় অর্থোপেডিক ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী মন্তব্য করেন— বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বাধা দিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নির্বাচনের ফসল ঘরে তুলতে চায়। তবে এবার সরকারকে সেই সুযোগ দেওয়া হবে না।
এমন বক্তব্যের জবাবে মঙ্গলবার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, ‘তারা আসলে কখন যে কি বলে এটা তারাই ভালো জানে। তাদের কেউ বলে, যে কোনও পরিস্থিতিতে তারা নির্বাচনে যাবে। আবার কেউ বলে, খালেদা জিয়ার সাজা হলে তারা নির্বাচনে যাবে না। আমার প্রশ্ন, তাদের কোন কথাটা সত্যি? আর খালেদা জিয়ার মামলা বর্তমান সরকার করেনি। এই দুর্নীতির মামলা করেছে তত্ত্বাবধায়ক সরকার।’
এদিকে দুর্নীতির দুই মামলায় মঙ্গলবার জামিন পেয়েছেন খালেদা জিয়া। এদিন সকালে পুরান ঢাকার বকশিবাজারের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী আদালতে পৌঁছান তিনি। এরপর তার আইনজীবী জামিন আবেদন করেন। সকাল ১১টা ৪০ মিনিটে বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আখতারুজ্জামান তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। একইসঙ্গে খালেদা জিয়াকে আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্যও আদেশ দেন।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট বিষয়ে দুদকের করা এই দুই মামলায় গত বছরের ১২ অক্টোবর খালেদা জিয়ার জামিন বাতিল করে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।