ডেস্ক রিপোর্ট: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন প্রশ্নে আগামীকাল বুধবার রায় ঘোষণা করবেন আদালত।
মঙ্গলবার রাষ্ট্রপক্ষের অ্যাটর্নি জেনারেলের শুনানি শেষে এ দিন ধার্য করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার সদস্যের বেঞ্চ।
এর আগে খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের অ্যাটর্নি জেনারেল আরও শুনানির আবেদন করেন।
এ আবেদনের পর প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ রায় ঘোষণা না করে দুপুর ১২টায় অ্যাটর্নি জেনারেলকে শুনানি করতে বলেন।
৮ ও ৯ মে দুদিন খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের করা আপিল আবেদনের ওপর শুনানি হয়।
শুনানি শেষে মামলাটির রায় ঘোষণার জন্য ১৫ মে তারিখ নির্ধারণ করেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ। সে অনুযায়ী আপিল বিভাগের আজকের কার্যতালিকায় মামলাটি তিন নম্বরে রাখা হয়েছে।
১২ মার্চ দুদকের আবেদনের শুনানি নিয়ে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে চার মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।
পাশাপাশি এ মামলায় খালেদা জিয়ার সাজা কেন বাড়ানো হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত। তার জামিন মঞ্জুর করে হাইকোর্টের দেয়া আদেশের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও রাষ্ট্রপক্ষ পৃথক আপিল করে।
পরে ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন আদেশ আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্থগিত রেখে ৮ মে শুনানির জন্য রাখেন আপিল বিভাগ।
একই সঙ্গে খালেদা জিয়াকে দেয়া হাইকোর্টের জামিন আদেশের বিরুদ্ধে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষকে আপিলের অনুমতি দেয়া হয়। আর আপিল আবেদনের সারসংক্ষেপ পরবর্তী দুই সপ্তাহের মধ্যে জমা দিতে দুদককে নির্দেশ দেন আদালত।
খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের করা আপিল আবেদনের ওপর ৮ ও ৯ মে শুনানি হয়। শুনানি শেষে মামলাটির রায় ঘোষণার জন্য ১৫ মে তারিখ নির্ধারণ করেন আপিল বিভাগ।
ওই শুনানিতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন- আইনজীবী এজে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন ও অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান এবং রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ৫ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান।
রায় ঘোষণার পরপরই খালেদা জিয়াকে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে তিনি সেখানেই আছেন।