বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১১ পৌষ, ১৪৩১

গুম বন্ধে রাষ্ট্রকে শক্তিশালী ভূমিকা রাখা উচিত: আসক

editor
নভেম্বর ১৪, ২০১৭ ৫:১২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ডেস্ক রিপোর্ট: একের পর এক জোরপূর্বক অন্তর্ধান বা গুমের ঘটনাকে অস্বীকার না করার জন্য সরকারে প্রতি আহ্বান জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। একটি স্বাধীন কমিশন গঠনের মাধ্যমে গুমের ঘটনার স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক তদন্ত নিশ্চিত করার দাবি করেছে সংস্থাটি।
আসক বলেছে, দেশি ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন বারবার আশঙ্কা প্রকাশ সত্ত্বেও গুমের ধারা অব্যাহত রয়েছে। এই ঘৃণ্য অপরাধ বন্ধে রাষ্ট্রের শক্তিশালী ভূমিকা দাবি করেছে তারা।
আসকের নির্বাহী পরিচালক শীপা হাফিজার স্বাক্ষর করা এ বিবৃতিটি দেওয়া হয় আজ মঙ্গলবার। বিবৃতিতে গুমের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে আসক।
গণমাধ্যমের সূত্র ধরে বিবৃতিতে বলা হয়, এ বছরের ২২ আগস্ট থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত ১০ জন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ব্যক্তির নিখোঁজের ঘটনা ঘটেছে। গত ২৬ আগস্ট কানাডার ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ইশরাক আহমেদ ফাহিম রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে নিখোঁজ হন। বিভিন্ন গণমাধ্যমসূত্রে জানা যায়, তিনি ঈদের ছুটি শেষে কানাডায় ফিরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। একটি অনলাইনভিত্তিক সংবাদমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিক উৎপল দাসকেও গত ১০ অক্টোবর থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। মানুষরে মন থেকে এসব ঘটনার রেশ মিলিয়ে না যেতেই ঢাকায় জোরপূর্বক অন্তর্ধান বা গুমের ঘটনা ঘটেই চলেছে। ৭ নভেম্বর নিখোঁজ হন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোবাশ্বার হাসান। সেদিন তিনি তাঁর বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর আর ফিরে আসেননি। ৮ নভেম্বর নিখোঁজ হন তানভীর ইয়াসিন করিম নামের একজন প্রকাশক। জানা যায়, ঢাকার গুলশান থেকে সাদাপোশাকে কিছু লোক তাঁকে তুলে নিয়ে যায়।
আসকের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘জোরপূর্বক অন্তর্ধান বা গুমের সংখ্যা এই আলোচিত ঘটনাগুলোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। নাগরিক সমাজ ও মানবাধিকারকর্মীদের বারবার দাবি সত্ত্বেও আমাদের দেশের আইনে জোরপূর্বক অন্তর্ধানের বিষয়টিকে এখন পর্যন্ত আলাদাভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়নি। রাষ্ট্রের কোনো প্রকার সংশ্লিষ্টতাকে অস্বীকার করে এই ভয়াবহ অপরাধটিকে এখনো ‘অপহরণ’-এর আওতায় সংজ্ঞায়িত করা হয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রেও রাষ্ট্রের দায়িত্ব রয়েছে নাগরিকের জীবনের নিরাপত্তা দিয়ে এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে বিচার নিশ্চিত করা।’
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এ ধরনের ঘটনা মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ হিসেবে বিবেচ্য। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই আক্রান্ত ব্যক্তিকে নিরাপত্তা বাহিনী বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরিচয়ে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ আছে। তবে নিরাপত্তা বাহিনী বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সব সময়ই এ ধরনের অপরাধের সঙ্গে তাদের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। যদিও অপহৃত বা গুমের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে কয়েকজনকে নিরাপত্তা বাহিনী বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী পরবর্তী সময়ে আদালতে সোপর্দ করেছে এবং তারা জীবিত রয়েছে কিন্তু অধিকাংশেরই কোনো হদিস পাওয়া যায়নি। কিছু ক্ষেত্রে আঘাতের চিহ্নসহ অপহৃত বা গুমের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের লাশ পাওয়া গেছে।’

Please follow and like us:

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।
Social media & sharing icons powered by UltimatelySocial