নিজস্ব প্রতিবেদক: সারাদেশে কর্মরত প্রায় ৪৬ হাজার গ্রাম পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের চাকরি রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্তির প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সরকারের নিষ্ক্রিয়তা এবং তাদেরকে ৪র্থ শ্রেণির স্কেলের সমপরিমাণ বেতন দিতে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। চার সপ্তাহের মধ্যে স্থানীয় সরকার, অর্থ, জন প্রশাসন, স্বরাষ্ট্র , আইন সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ ৩২ জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রবিবার এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি জেবিএম হাসানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টেরর দ্বৈত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির পল্লব। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।
পরে হুমায়ুন কবির বলেন, ব্রিটিশ আমল থেকে এ বাহিনী বিভিন্ন আইনের অধীনে কাজ করে আসছে। সর্বশেষ স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ সালের অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ আইনের অধীনে ২০১৫ সালে স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) গ্রাম পুলিশ বাহিনীর গঠন, প্রশিক্ষণ, শৃঙ্খলা ও চাকরির শর্তাবলী সম্পর্কিত বিধিমালা তৈরি করা হয়। কিন্তু এ বিধিতে তাদের কোনও শ্রেণি নির্ধারণ করা হয়নি।
এদিকে এক দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৮ সালের স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় গ্রাম পুলিশদের ৪র্থ শ্রেণির স্কেল নির্ধারণে অর্থ বিভাগকে একটি চিঠি দেওয়া হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত এ নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত তারা না নেওয়ায় হাইকোর্টে রিট করা হয়।
তিনি আরও বলেন, একজন ভিক্ষুকও দৈনিক পাঁচশ’ টাকা আয় করে। কিন্তু একজন গ্রাম পুলিশ ২৪ ঘণ্টা কাজ করে দৈনিক মাত্র তিনশ’ টাকা বেতন পান। আবার তাদেরকে নিয়োগ দেয় সরকার। কিন্তু বিধিমালায় তাদের কোনও শ্রেণি নির্ধারণ করা হয়নি।
প্রসঙ্গত, এর আগে গত ২৭ নভেম্বর ঢাকার ধামরাইয়ের টুপিরবাড়ীর হাটকুশারা এলাকার বাসিন্দা গ্রাম পুলিশ লাল মিয়াসহ ৫৫ জন গ্রাম পুলিশ এ রিটটি দায়ের করেন। সেই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত এ রুল জারি করেন।