ক্রীড়া প্রতিবেদক : সিলেটের কাছে হারলেও দ্বিতীয় ম্যাচে জয় পেয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। গতকাল চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে ৮ উইকেটের বিশাল জয় পেয়েছে তারা। আগে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ১৪৩ রান করে চিটাগং। জবাবে ১৭.২ ওভারে ২ উইকেটে ১৪৪ রান করে ৮ উইকেটে জয় পায় কুমিল্লা। ফলে দুই ম্যাচ শেষে ২ পয়েন্ট পেলো কুমিল্লা। আর পয়েন্ট টেবিলে তারা উঠে এলো চার নম্বরে। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিপিএলে নিজেদের প্রথম ম্যাচে টস হেরে ব্যাট করতে নামে চিটাগং। প্রথম দুই জুটিতে যা একটু রান তুলতে পেরেছে তারা। সৌম্য সরকার ৬৩ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েন লুক রনকির সঙ্গে। ৪০ রান করে মোহাম্মদ নবীর বলে আউট হন ব্যাটসম্যান রনকি। চিটাগংয়ের ইনিংস শেষে এটাই ছিল ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ। রনকির বিদায়ের পর দিলশান মুনাবিরাকে নিয়ে ৩৮ রানের জুটিতে সৌম্য দলকে এনে দেন শতরান। ২১ রানে মুনাবিরা আউট হওয়ার পর কুমিল্লা বোলারদের সামনে নাকাল হয়ে পড়ে চিটাগংয়ের ব্যাটসম্যানরা। ৩২ রানের ব্যবধানে ৬ উইকেট হারায় তারা। ৩৩ বলে সৌম্য ৩৮ রানে আউট হন। এরপর কেবল সিকান্দার রাজা দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছান। ১৮ রানে অপরাজিত ছিলেন জিম্বাবুয়ান ব্যাটসম্যান। কুমিল্লার পক্ষে ম্যাচসেরা মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন। দুটি পান ডোয়াইন ব্রাভো। জয়ের জন্য ১৪৪ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে জস বাটলার দুটি শক্ত জুটি গড়েন লিটন দাস ও ইমরুল কায়েসকে নিয়ে। মাত্র ৪.২ ওভারে ৪৩ রান করার পর ভাঙে কুমিল্লার উদ্বোধনী জুটি। ১৪ বলে তিন চার ও এক ছয়ে ২৩ রানে আউট হন লিটন। বাটলার ও ইমরুলের দ্বিতীয় উইকেটে ৫৭ রান সহজ জয়ের ভিত গড়ে দেয়। হাফসেঞ্চুরির আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছাড়েন বাটলার। ৪৮ রান করেন তিনি ৪২ বলে তিন চার ও দুই ছয়ে। আর কোনও উইকেট হারায়নি কুমিল্লা। মারলন স্যামুয়েলস ও ইমরুলের অপরাজিত ৪৪ রানের জুটিতে ১৬ বল বাকি থাকতে জয় পায় সাবেক চ্যাম্পিয়নরা। ৩১ বলে ৩৩ রানে খেলছিলেন ইমরুল। স্যামুয়েলস ৩৫ রানে অপরাজিত ছিলেন ১৮ বল খেলে, চারটি চার ও এক ছয় ছিল তার ইনিংসে। কুমিল্লার দুই ব্যাটসম্যানকেই ফেরান শুভাশিষ রায়।