এস এম খুররম আজাদ: উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে বর্তমান চেয়ারম্যান আবুল হোসেনকে পুনরায় চেয়ারম্যান দেখতে চান জামালপুর সদরবাসী। সাবেক জিএস আবুল হোসেন জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দায়িত্ব পালন করছেন।
১ টি পৌরসভা ও ১৫ টি ইউনিয়ন নিয়ে জামালপুর সদর উপজেলা। ২০১৯ সালে সদরের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন মোহাম্মদ আবুল হোসেন। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবার পর তিনি সদরের উন্নয়নে ব্যাপক কাজ করেন। তার পরেও বৃহৎ এই উপজেলার অনেক কাজ এখনো বাকী রয়েছে। পুনরায় নির্বাচিত হলে তিনি সদরের অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করে স্মার্ট সদর গড়তে কাজ করবেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
জানা গেছে, আবুল হোসেন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবার পর বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। করেনাকালীন সময় যখন অনেকেই ঘর থেকে বের হতে ভয় পেয়েছেন তখনো আবুল হোসেন করোনায আক্রান্ত রোগীদের পাশে দাড়িয়েছেন। ওই সময় সদরের হাজার হাজার মানুষের বাড়িতে খাদ্য সামগ্রী ও ওষুধ পৌঁছে দিয়েছেন। সমস্যায় থাকা অনেক মধ্যবিত্ত পরিবারের বাড়িতে রাতের অন্ধকারে খাদ্য সামগ্রী ও ওষুধ পৌঁছে দিয়েছেন। সরকারি বরাদ্দ ছাড়াও ব্যক্তি উদ্যোগে হাজারো মানবিক কাজ করায় সদরবাসীর কাছে মানবিক উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন।
জনপ্রতিনিধির চেয়ারে বসার পর অনেকের চরিত্র পাল্টে গেলেও আবুল হোসেন এর ব্যতিক্রম। তিনি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবার পর নিজেকে সদরবাসীর সেবক এবং সদরবাসীকে তাঁর মনিব মনে করেন। আওয়ামী লীগের টিকেট নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেও তিনি হন সবার চেয়ারম্যান। সাদা মনের নিরঅহংকারী আবুল হোসেন সদরবাসীর সেবায় নিয়োজিত থাকার পরেও আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের প্রতিটি কর্মকান্ডে নিজেকে সম্পৃক্ত রাখেন। দলীয় প্রতিটি কর্মাকান্ডে তার সরব উপস্থিতি সর্বস্তরের নেতা-কর্মীর চোখের মনিতে পরিণত হয়েছেন। ক্লিন ইমেজের নেতা আবুল হোসেন আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পুনরায় আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী। শুক্রবার রাতে জামালপুর সদর উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করেন আবুল হোসেন।
এসময় জামালপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবুল হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে ২০১৯ সালে জামালপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নৌকা প্রতীক দিয়ে জামালপুর সদর উপজেলা বাসীর খেদমত করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলের উন্নয়নের সুফল যেমন, রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট, স্কুল-কলেজের উন্নয়ন, শিশু ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা, বয়ষ্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধি ভাতা ও ফেয়ার প্রাইজের চাল বিতরণসহ জামালপুর সদরের প্রান্তিক পর্যায়ের সাধারণ মানুষের মাঝে বিভিন্ন উন্নয়ন ছড়িয়ে দিয়েছি। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে যদি পূনরায় নৌকা মনোনয়ন দেন তাহলে আমার জীবন বাজি রেখে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা এবং শেখ হাসিনার দারিদ্র্য মুক্ত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার মাধ্যমে জামালপুর সদর উপজেলাকে একটি স্মার্ট উপজেলা হিসেবে গড়ে তুলবো।